আস্ত একটা এরোপ্লেন। তার মধ্যেই ঘর, আসবাব, বিছানাপত্র এমনকি রয়েছে একটা সুইমিং পুলও। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। আস্ত একটা প্লেনকেই বিলাসবহুল প্রাসাদে পরিণত করেছেন এক ব্যক্তি। আসুন শুনে নেওয়া যাক
বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। পুরোদস্তুর এরোপ্লেন ছাড়া আর কিছুই মনেও হবে না। কিন্তু ভিতরে পা রাখলেই চক্ষু চড়কগাছ হতে পারে। কারণ এই প্লেনের ভিতরেই দেখা মিলবে আস্ত একটা সুইমিং পুল, সুন্দর করে সাজানো শোওয়ার ঘর, এমনকি বার-ও।
আরও শুনুন: দেশের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর তালিকায় দ্বিতীয় যোগী আদিত্যনাথ, প্রথমস্থানে কে?
সিনেমায় বা গল্পে নয়। এমন বাড়ি বাস্তবেই তৈরি করেছেন রাশিয়ার ফেলিক্স ডেমিন। তবে একে বাড়ি না প্লেন বলা হবে, তা নিয়ে তর্ক চলতেই পারে। কারণ ভিতরে যতই বাড়ির মতো ব্যবস্থা থাকুক আসলে এটি আস্ত একটা প্লেন। সম্প্রতি নিজের এই অদ্ভুত কীর্তির ছবি-ভিডিও নেটদুনিয়ায় ভাগ করেছেন ফেলিক্স। যা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন সকলেই। একে তো এমন অভিনব ভাবনা, তার ওপর যেভাবে ওই প্লেনের ভিতরের অংশ সাজানো হয়েছে তা অবাক করতে বাধ্য। জানা গিয়েছে, বোয়িং ৭৩৭ নামে এক বাতিল বিমানকেই বিলাসবহুল প্রাসাদে পরিণত করেছেন ফেলিক্স। কী নেই তার মধ্যে! ভিতরে ঢোকার জন্য পা রাখতে হবে অত্যাধুনিক এক সিঁড়িতে। কয়েক ধাপ উঠলেই বিমানের দরজা। সেটা খুললেই একেবারে আলাদা দুনিয়া। প্রথমেই চোখে পড়বে বিরাট মাপের দুটো বেডরুম। তার সঙ্গে লাগোয়া বার, গ্লাস পোর্টাল সবই রয়েছে। বিমানের যে অংশে ককপিট থাকে, সেখানে তৈরি করা হয়েছে স্নানঘর। তাও দেখার মতো বললে ভুল হবে না। এরপরই বলতে হয় সুইমিং পুলের কথা। সে অংশে পৌঁছলে বোঝার উপায় নেই এ সত্যিকারের কোনও বিলাসবহুল হোটেল, নাকি বাতিল বিমান! সুলিং পুলের সঙ্গে রয়েছে জাকুজিও। আর আকারেও তা যথেষ্টই বড়। অনায়াসে কয়েকজন সেখানে সময় কাটাতে পারবেন।
আরও শুনুন: খুদের ‘জনক’ বাবা ও ছেলে উভয়েই! ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ?
তবে এই প্রাসাদের সবথেকে আকর্ষনীয় অংশ এর বাইরেটা। কারণ এই বিমান প্রাসাদটা তৈরিই হয়েছে সমুদ্রের ধারে। কাজেই, বিমানের মধ্যে বসে সমুদ্র দেখারও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। ভিডিও দেখলেই বোঝা যাবে সেই দৃশ্য কতটা মনোরম। যে কোনও বিমানেই আপদকালীন দরজা বা এমার্জেন্সি ডোর থাকেই। এই বিমানেই সে ব্যবস্থা ছিল। গোটা বিমানটাকে প্রাসাদে পরিণত করলেও সেই দরজা বদলে দেননি ফেলিক্স। বরং দরজার বাইরে তিনি বড়সড় মাপের একটা দোলনা রেখেছেন। যা এই প্রাসাদের অন্যতম আকর্ষণ হতেই পারে। তবে বাইরের কেউ এখানে থাকতে পারবেন কি না, সেই নিয়ে কোনও তথ্য সামনে আনেননি ফেলিক্স। তাই নেটদুনিয়াতে এ বিষয়ে চাঁপা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই এই অদ্ভুত সুন্দর জায়গায় একরাত কাটানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। অনেকে আবার টাকার কথা তুলে ব্যঙ্গ করেছেন। সবমিলিয়ে এই বিমান প্রাসাদ ঘিরে বেশ শোরগোল নেটপাড়ায়।