হিন্দু মন্দিরে ‘ওঁ’ চিহ্ন থাকা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু গোটা মন্দিরটাই ওই বিশেষ আকৃতির, এমনটা দেখেছেন? রাজস্থানে তৈরি হয়েছে এমনই এক মন্দির। যার আকৃতি ঠিক ওঁ এর মতো। কোন দেবতার উদ্দেশে তৈরি হল এই বিশেষ মন্দির? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। সম্পূর্ণ মন্দির তৈরি হতে সময় লাগল ২৭ বছর। অবশ্য মন্দিরের আকৃতি দেখলে খুব সহজেই বোঝা যাবে এতদিন সময় লাগার কারণ কী! সাধারণত মন্দিরের আকৃতি যেমন হয় এই মন্দির একেবারেই তেমনটা নয়। মন্দিরটি উপর থেকে দেখলে স্পষ্ট ‘ওঁ’ আকৃতি ফুটে উঠবে।
আরও শুনুন: জয় শ্রীরাম বলতে আপত্তি কীসের! ‘সাজদা’ প্রসঙ্গ টেনে সাফ দাবি মহম্মদ শামির
দীর্ঘ আন্দোলনের পর বিতর্কিত জমিতে তৈরি হয়েছে রামমন্দির। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার মূর্তিও। এই আবহে সামনে এল আরও এক মন্দির নির্মাণের ছবি। তবে এটি আযোধ্যায় নয়। রাজস্থানের পালি জেলার এক গ্রামে। মন্দিরটি দেবাদিদেব মহাদেবের উদ্দেশে নির্মিত। যার মধ্যে রয়েছে ১০০০ শিবলিঙ্গ। শুধু তাই নয়, এই মন্দিরে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের আদলেও শিবের প্রতিকৃতি রাখা হবে। সেইসঙ্গে থাকবে আরও কিছু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি এবং ছবি। তব মন্দিরটির বিশেষত্ব এর আকৃতি। উপর থেকে দেখলে স্পষ্ট বোঝা যাবে, মন্দিরের আকৃতি ওঁ। হিন্দু ধর্মের এই বিশেষ প্রতীকী যে কোনও ধর্মীয় স্থানেই দেখা যায়। মন্ত্রেও ‘ওঁ’ এর উল্লেখ থাকেই। তবে গোটা মন্দিরটাই ওই আকৃতির এমনটা ভারতে এই প্রথম বলেই দাবি করছেন অনেকে। ১৯৯৫ সালে মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়। সেই থেকে কাজ এগিয়েছে একটু একটু করে। প্রায় ২৫০ একর জমির উপর নির্মিত এই মন্দিরে ২০০০-এরও বেশি পিলার রয়েছে। মন্দিরটির সর্বোচ্চ উচ্চতা ১৩৫ ফুট। এখানেই শেষ নয়। এর মধ্যে রয়েছে ১০৮ টি ঘর। জনপ্রিয় হিন্দু সংগঠনের উদ্যোগেই তৈরি হচ্ছে এই বিশেষ ‘ওঁ’ মন্দির।
আরও শুনুন: বাড়িতে সরস্বতী পুজো, মূর্তি কেনার সময় কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখবেন?
মন্দিরটিতে রয়েছে বিশাল মাপের এক জলের ট্যাংকও। যা প্রায় ২ লক্ষ টন জল ধারণ করতে পারবে। আসলে আগামী দিনে মন্দিরে ভক্ত সমাগম যেমন হবে, তেমনই এখানে থাকার জন্যও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু সন্ন্যাসীরা আসবেন বলেই মনে করছে মন্দির কমিটি। তাই এই বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়া মন্দির চত্বরেই থাকছে একটি স্কুল ও কলেজ। সবমিলিয়ে আগামী দিনে রাজস্থানের অন্যতম দর্শনীয় স্থাপত্যে পরিণত হতে পারে এই মন্দির। শিবের মন্দির তাই চলতি বছরে শিবরাত্রির আগেই তা উদ্বোধনের কথা ভাবা হয়েছে। রামমন্দিরের মতো এই মন্দিরও কতটা জনপ্রিয় হয় তা দেখা এখন সময়ের অপেক্ষা।