দুর্নীতির অভিযোগ তো ছিলই। তারপর জানা গেল, একাধিক কর্মীর সঙ্গে যৌন সংসর্গ করতেও ছাড়েননি তিনি। জেলে যেতেই একাধিক কীর্তি ফাঁস হল আধিকারিকের। শুনে নেওয়া যাক।
ক্ষমতা হাতে পেলে অনেকেই তার অপব্যবহার করে থাকেন। ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখেন অধস্তনদের। ভয় দেখিয়ে চুপ করান। সেখান থেকেই ডালপালা মেলে বেড়ে ওঠে থ্রেট কালচার। এসব কথা তো সকলেরই জানা। তবে যে কথা ক্ষমতা বুঝতে চায় না, তা হল, ক্ষমতার জারিজুরিও কখনও ফাঁস হয়ে যেতে পারে। আর বিপাকে পড়লেই, ক্ষমতার অপব্যবহারের সেইসব ঘটনা একে একে সামনে আসতে থাকে। যেমনটা ঘটেছে এই আধিকারিকের ক্ষেত্রে। দুর্নীতির অভিযোগে এমনিতেই বেকায়দায় পড়েছিলেন তিনি। তার উপরে জানা গিয়েছে, অধস্তনদের সঙ্গে যৌন সংসর্গে জড়াতেও পিছপা হননি তিনি। অন্তত ৫৮ জন কর্মীর থেকে তিনি যৌন সুযোগ নিয়েছেন, জানা গিয়েছে এমনটাই। এই সমস্ত অভিযোগের জেরেই জেল হেফাজতে থাকতে হচ্ছে প্রভাবশালী ওই আধিকারিককে।
কথা হচ্ছে চিনের ঝং ইয়াং-কে নিয়ে। এই মহিলা আধিকারিক আড়ালে আবডালে পরিচিত ছিলেন ‘দ্য বিউটিফুল গভর্নর’ নামে। চিনের গুইঝাউ প্রদেশে গভর্নর এবং ডেপুটি সেক্রেটারির পদে কাজ করতেন তিনি। ৫২ বছরের এই মহিলা কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁর ২২ বছর বয়সে। ক্রমে ক্রমে দলের ভেতরেও বিপুল ক্ষমতা হাতে আসে তাঁর। কিন্তু সমস্যা হল, এত ক্ষমতা হাতে পেয়ে তার অপব্যবহারের দিকেই এগিয়েছিলেন তিনি। ঘুষ এবং নানারকম সুযোগসুবিধার বিনিময়ে নিজের ঘনিষ্ঠ সংস্থাগুলিকে সরকারি কনট্র্যাক্ট পাইয়ে দিতেন তিনি। অন্যথায় সেভাবে কাজই পেত না কোনও সংস্থা। আর শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে একাধিক পুরুষ কর্মী, যারা তাঁর অধস্তন, তাদের থেকে যৌন সুবিধা নিতেন ওই আধিকারিক। অন্তত ৫৮ জন কর্মীর সঙ্গে তিনি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
তবে ক্ষমতা আর প্রভাবের জেরে নিজেকে যতই শক্তিশালী বলে মনে করে থাকুন না কেন, সময় কিন্তু এখন উলটো কথাই বলছে। আপাতত সরকার এবং দল, দুই ক্ষেত্রেই পদ খুইয়েছেন মহিলা। একসময়ের প্রভাবশালী আধিকারিকের ঠিকানা এখন জেলের অন্ধকারই।