সময় খরচ হবে মাত্র ঘণ্টা-চারেক। তাতেই মিলবে চরম তৃপ্তি। এমনকি তা হার মানাবে যৌনতার আনন্দকেও। তাই রোজকার রুটিনে সেই বিশেষ কাজ যোগ করেছেন অনেকেই। মূলত তরুণ-তরুণীদেরই এই কাজের প্রতি ঝোঁক সব থেকে বেশি। কী সেই বিশেষ কাজ? আসুন শুনে নিই।
যৌনতা নয়। চরম সুখের চাবিকাঠি লুকিয়ে অন্য এক বিশেষ কাজে। এমনটাই দাবি নতুন প্রজন্মের। অনেকেরই সাপ্তাহিক রুটিনে যোগ হয়েছে এই কাজ। এর জেরে মানসিক শান্তি তো মিলছেই, শরীরও বেশ সুস্থ থাকছে।
আরও শুনুন: দুটি স্তন স্বাভাবিকের তুলনায় ৬ গুণ বড়, তাতেই বেজায় আয় বাড়ল মডেলের
যৌনতার প্রতি অধিকাংশ মানুষেরই প্রবল টান। সেই টান কেবল বাস্তবের যৌন সম্পর্কে আটকে নেই। বাস্তবে যৌনতা মিলুক বা না মিলুক, রিল লাইফে হাত বাড়ালেই মেলে অবাধ যৌনতা। অবশ্য সবটাই ফোন বা টিভির স্ক্রিনে। কিন্তু তাতে কি! পর্দার যৌনতার মধ্যেই তৃপ্তি খোঁজার চেষ্টা করেন অনেকে। কারণ তার রং ঢং, অঙ্গভঙ্গিতে যে তীব্র শরীরী আকর্ষণ ফুটে ওঠে, তা বাস্তবের থেকে অনেকটাই চড়া। তাই সেই অন্যরকম যৌনতা দেখার আকর্ষণ স্বাভাবিক ভাবে অনেকটা বেশি। কিন্তু এখানে নীল ছবির কথা হচ্ছে না। একেবারে আধুনিক প্রজন্মের তরুণ তুর্কীরা মেতেছেন অন্য নেশায়। আর সেই নেশা এতটাই তীব্র, যে যৌনতার তৃপ্তিকেও হার মানাবে। সেকথা অকপটে স্বীকার করছেন তাঁরা।
কিন্তু কী এমন কাজ যা যৌনতার থেকেও বেশি তৃপ্তি দেয়?
আরও শুনুন: একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌনতার পরেও তিনি কুমারী! রহস্য ফাঁস পর্ন তারকার
জেন জেড এর ভাষায় এর নাম, ‘এভরিথিং শাওয়ার’। আসলে স্রেফ স্নান করা। কিন্তু সেখানেই রয়েছে চমক। এক্ষেত্রে স্নান করতে হবে খুব কম করে হলেও ঘণ্টা চারেক। আর এই সময়টা সম্পূর্ণভাবে নিজের সঙ্গ উপভোগ করতে হবে। চুলে শ্যাম্পু করা, শ্যেভ করা সহ যাবতীয় যা কিছু করলে শরীর পরিষ্কার থাকে, তার সবই করে নিতে হবে এর মধ্যে। যাতে স্নানের পর শরীর একেবারে তরতাজা থাকে। শুধু শরীর নয়, ভালো রাখতে হবে মনও। তাই স্নানের সময় প্রিয় গায়কের গান শোনার অভ্যাসও রাখছেন কেউ কেউ। বলা ভালো, এভরিথিং শাওয়ার-এর অন্যতম অঙ্গ গান শোনা। এতক্ষণ সময় কেউ যদি শাওয়ারের নিচে কাটান, তাহলে এমনিই যাবতীয় ময়লা ধুয়ে যাবে। যার ফলে শরীরের নোংরা জমে কোনও রোগ হওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না। ইতিমধ্যেই এই বিশেষ কাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। অনেকেই ‘এভিরিথিং শাওয়ার’-এর উপকারিতা নিয়ে ভিডিও বানিয়েছেন। কেউ কেউ আবার নিজেদের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিয়েছেন। তাঁরা ঠিক কী কী করেন এই সময় তার সবটাই জানিয়েছেন। এমনকি কীভাবে কোন কাজ আগে করলে সবথেকে উপভোগ্য হবে শাওয়ার, তার বর্ণনাও দিয়েছেন কেউ কেউ। একইসঙ্গে অন্যরাও যেন এই বিশেষ অভিজ্ঞতার ভাগীদার হন, সেই পরামর্শও দিয়েছেন অনেকেই। আর গানের কথা তো রয়েছেই। কে কোন গান শুনে শাওয়ার নেন, তাও জানিয়েছেন অনেকেই। সব মিলিয়ে এই এভরিথিং শাওয়ার নিয়ে তরুণ তুর্কীদের উত্তেজনার শেষ নেই। তাই এই সংক্রান্ত অধিকাংশ ভিডিওই রীতিমতো ভাইরাল হয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।