রামের জন্য ভোগ রাঁধবেন বিষ্ণু! তাও অল্প নয়। একেবারে ৭০০ কেজি। ভাবছেন তো, রাম নিজেই যার অবতার তিনি কীভাবে রামের জন্য ভোগ রাঁধবেন? ব্যাপারটা ঠিক কী? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বিষ্ণুর সপ্তম অবতার শ্রী রামচন্দ্র। ত্রেতাযুগে তাঁর আবির্ভাব। এই যুগেই যাবতীয় লীলা বিচরণ। এর বিস্তারিত বর্ণনা মেলে রামায়ণে। সেখানেও ছত্রে ছত্রে বিষ্ণুর রূপকল্প হিসেবেই রামের প্রকাশ। সুতরাং, শাস্ত্রমতে বিষ্ণু আর রামকে আলাদা বলা চলে না। অথচ রাম মন্দির উদ্বোধনের আবহে রামের জন্য ভোগ রাঁধতে দেখা গেল বিষ্ণুকেই!
আরও শুনুন: মসজিদে আশ্রয় চাইলেন শবরীমালার ভক্তরা, মিলল পুজোপাঠের অনুমতিও
ব্যাপারটা ঠিক কী?
তাহলে খুলেই বলা যাক। আসলে, বিষ্ণু বলতে এখানে ভগবান বিষ্ণুর কথা বলা হয়নি। এখানে বিষ্ণু হলেন নাগপুরের এক বিখ্যাত শেফ। পুরো নাম বিষ্ণু মনোহর। রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে তিনি ঠিক করেছেন রামের জন্য বিশেষ ভোগ তৈরি করবেন। সেই ভোগ বিলি করা হবে মন্দিরের দর্শনার্থিদের। স্বাভাবিক ভাবেই এই আয়োজন যে সামান্য হবে না, তা বলাই বাহুল্য। জানা গিয়েছে, মোট ৭০০০ কেজি ভোগ তৈরি করবেন বিষ্ণু। মূলত সুজির হালুয়া। তবে যেহেতু এই ভোগ শ্রীরামের উদ্দেশে, তাই একে ‘রামহালুয়া’ নাম দিয়েছেন তিনি। এতে থাকবে, প্রায় ৯০০ কিলো সুজি, ১০০০ কিলো ঘি, ১০০০ কিলো চিনি, প্রায় ২০০০ লিটার দুধ এবং কয়েকশো কেজি ড্রাই ফ্রুট। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এত বিশাল পরিমান ভোগ তিনি রাঁধবেন কিসে?
আরও শুনুন: দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শ নিয়েই তৈরি অযোধ্যার রামলালার মূর্তি, কিন্তু কেন?
সে ব্যবস্থাও করেহেন নিজেই। ভোগ রাঁধার জন্য তৈরি করিয়েছেন বিশাল এক কড়াই। যার ওজন প্রায় ১৪০০ কেজি। বিষ্ণুর দাবি এই কড়াইতে অনায়াসে ৭০০০ কেজি বা ১২ হাজার লিটার রান্না করা সম্ভব। স্বাভাবিক ভাবেই এই কড়াই আকারেও বেশ বড়। মন্দির চত্বরে পুজো দিতে আসা সকলেই এই বিশেষ ভোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন বিষ্ণু মনোহর। তাঁর দাবি, এই ভোগ কয়েক লক্ষ ভক্তের পেট ভরাবে। আসলে, বিষ্ণু মনোহর নিজেও দীর্ঘদিন রাম মন্দির তৈরির আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। দীর্ঘ আন্দোলনের পর অবশেষে মন্দির তৈরি হওয়ায় বেশ আনন্দে রয়েছে তিনি। তাই এই ভোগ তৈরির বিশেষ উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন। করসেবা-র অনুকরণে এই ভোগ বিতরণ কর্মসূচির নামও দিয়েছে পাকসেবা। এবার মন্দির উদ্বোধনের দিনে তাঁর তৈরি করা রামের প্রসাদ খেয়ে সবাই কতটা তৃপ্তি পান, তার অপেক্ষায় দিন গুনছেন বিষ্ণু মনোহর।