সম্প্রতি ‘ফর্জি’ ওয়েব সিরিজটির জেরে আরও একবার প্রকাশ্যে জাল নোটের কাণ্ডকারখানা। কীভাবে আসল কারেন্সি নোটের থেকে সামান্য বদল থাকে জাল নোটে, সে কথাও জানা। কিন্তু এই ব্যক্তি সেইসব নোটই সংগ্রহ করেন, যেগুলি কারেন্সি নোটের থেকে সামান্য হলেও আলাদা। কেন? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’ গল্পে এক অদ্ভুত রাজাকে হাজির করেছিলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, যাঁর শখ ছিল টাকা জমানো। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল, সেই সব টাকাই আসলে অচল। অনেকটা তেমনই দশা এই ব্যক্তির। ১ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত, বিভিন্ন মূল্যমানের অন্তত এক লক্ষ নোট রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। কিন্তু তার কোনোটিই বাজারে চলবে না, কারণ প্রতিটি নোটেই যে ভুল রয়েছে। তাহলে সেই সব নোট কেন জমিয়ে রেখেছেন এই ব্যক্তি? তবে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: ‘ভগবান কাঁহা হ্যায় রে তু!’ পরীক্ষার খাতায় হিন্দি গান লিখে এল পড়ুয়া
আসল কারেন্সি নোট আর জাল নোটের মধ্যে যে সূক্ষ্ম ফারাক থাকে, সে কথা মোটামুটি সকলেরই জানা। আর সেই জাল নোট যদি ভুল করেও কারও হাতে চলে আসে, তাহলেই ভোগান্তির একশেষ। কিন্তু ভুল করে নয়, সচেতনভাবেই ভুল নোট সংগ্রহ করেন এই ব্যক্তি। আজ্ঞে হ্যাঁ, তিনি যে নোট সংগ্রহ করেন, তা আসল কারেন্সি নোটের থেকে আলাদা বটে, তবে তা জাল নয়। আসলে সরকারি টাঁকশাল থেকে যে কারেন্সি নোট ছাপা হয়ে আসে, তার একটা নির্দিষ্ট ছাঁচ আছে, সে কথা বলাই বাহুল্য। আর তাতে সামান্য ভুল হলেই সে নোট চলে যায় বাতিলের তালিকায়। কোনও নোটে হয়ত সংখ্যার ভুল, কোথাও বেশি কালি পড়ে গিয়েছে, কোথাও নোট কাটতে গিয়ে ভুল হয়েছে, এমন সব নোটই বাতিল করা হয়। সেইরকম ভুল থাকা নোট জোগাড় করাই শখ মধ্যপ্রদেশের এই ব্যক্তির। আর ভুল নোট জমানোর এই অদ্ভুত শখের দৌলতেই খ্যাতি কুড়িয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: স্মার্টের জ্বালায় অস্থির! সাবেকিয়ানায় ঝুঁকে এখন ‘বোকা ফোন’ হাতে চাইছেন তরুণরাই
৫৭ বছর বয়সি এই ব্যক্তির নাম উমাশঙ্কর আগরওয়াল। এক টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন মানের নোট রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই এইভাবে ভুল নোট জমিয়ে আসছেন বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। নিজের পূর্বপুরুষদের থেকেই তিনি এই শখ পেয়েছেন বলে দাবি ব্যক্তির। আর বর্তমানে, ভুল ছাপা নোটের সবচেয়ে বড় সংগ্রহটি রয়েছে তাঁরই কাছে। বর্তমানে ভুল নোটের একটি সংগ্রহশালাও তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। সাধারণ মানুষকে তাঁর সংগ্রহ দেখানোর পাশাপাশি নবীন প্রজন্মকে পুরনো মুদ্রাগুলি সম্পর্কে ধারণা দেওয়াও লক্ষ্য তাঁর, এমনটাই জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।