আইসক্রিমের কাঠি দিয়েই অভিনব রঙ্গোলি বানালেন মা-মেয়ে। আর সেই কাজের জন্যই রেকর্ডও জিতে নিয়েছেন তাঁরা। একটি দুটি নয়, মোট ২৬ হাজার আইসক্রিমের কাঠি ব্যবহার করেই এ কাজ শেষ করেছেন তাঁরা দুজনে। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
রঙ্গোলি বানিয়েই রেকর্ড গড়লেন এক ভারতীয় মহিলা এবং তাঁর মেয়ে। সিঙ্গাপুরের বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠল ভারতের ওই দুই মহিলার। আসলে প্রচলিত ধরনে রঙ্গোলির নকশা তৈরি করেননি তাঁরা। এই বিশেষ রঙ্গোলিটি বানাতে তাঁরা ব্যবহার করেছেন মোট ২৬ হাজার আইসক্রিমের কাঠি। ঝুরো রং নয়, ওই কাঠিগুলিতে রং মাখিয়েই রংবাহারি রঙ্গোলি বানিয়েছেন তাঁরা। আর তাই দিয়েই ফুটিয়ে তুলেছেন চার বিখ্যাত তামিল কবি-সাহিত্যিকের মুখ। এই অভিনব নকশার কারণেই রেকর্ডের পাতায় ঠাঁই হয়েছে ওই মা-মেয়ে জুটির।
আরও শুনুন: ‘সরকারি চাকুরে পাত্রী চাই’, বিয়ের জন্য পোস্টার হাতে রাস্তায় ধরনা ব্যক্তির
আসলে বাংলার আলপনার মতোই, বাংলার বাইরে দেশের অন্যান্য প্রান্তে চল রয়েছে রঙ্গোলির। নানা উৎসব উপলক্ষে ঘরের বাইরে রঙ্গোলি দিয়েই অনুষ্ঠানের সাজসজ্জা সম্পূর্ণ হয়। কেবল সাজের জন্যই নয়, শুভ বলেও মান্যতা দেওয়া হয় এই রঙ্গোলিকে। একরঙা নয়, নানা রঙের বাহারে ছোট ছোট অনেক নকশা জুড়ে ফুটে ওঠে রঙ্গোলির সম্পূর্ণ কাজ। আর সেই রঙ্গোলি বানানোতেই হাত পাকিয়েছেন সুধা রবি নামের ওই মহিলা। জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও, বর্তমানে সিঙ্গাপুরেই থাকেন তিনি। আর সেখানকার বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠেছে তাঁর এবং তাঁর মেয়ের।
অবশ্য এই প্রথমবার নয়, এর আগেও এই রেকর্ড বুকে স্থান পেয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে ৩২০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে রঙ্গোলি বানিয়েছিলেন তিনি। এর আগে ময়দা, চক, চপস্টিক এমন নানারকম জিনিস দিয়েই রঙ্গোলি বানিয়েছেন তিনি। আর এবার ৬ মিটার বাই ৬ মিটারের বর্গক্ষেত্র জুড়ে পাকা হাতে নিজের কারুকাজ ফুটিয়ে তুলেছেন এই ভারতীয় মহিলা। আর এই সমস্ত কাজটাই তিনি করেছেন ২৬ হাজার আইসক্রিমের কাঠি ব্যবহার করে। রঙ্গোলির মধ্যে ফুটে উঠেছে চার তামিল মনীষীর ছবি, সাহিত্যজগতে যাঁদের খ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে। তিরুভাল্লুভার, আভভাইয়ার, ভারাথিয়ার এবং ভারথিদাসান, এই চারজনের মুখই নিখুঁতভাবে রঙ্গোলির মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন ওই মহিলা। সম্পূর্ণ কাজটি শেষ করতে সময় লেগেছে এক মাস। অবশ্য তিনি একা নন, সুধা রবিকে এই কাজে সাহায্য করেছে তাঁর মেয়ে, রক্ষিতাও।
আরও শুনুন: বেশ্যালয়ে যান স্বামী, জেনে ফেলে গোপনে পিছু ধাওয়া করে ‘প্রতিশোধ’ নিলেন স্ত্রী
পোঙ্গল অনুষ্ঠান উপলক্ষেই এই রঙ্গোলি বানিয়েছিলেন মা-মেয়ে। তবে সম্প্রতি ওই চার মনীষীর কাজকে উদযাপন করছে কলামঞ্জরী নামের একটি তামিল সাংস্কৃতিক সংস্থা। আর এই আবহেই এই বিশেষ রঙ্গোলিটিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছে সিঙ্গাপুরের তামিল সম্প্রদায়। একইসঙ্গে, অন্যান্য বাসিন্দাদের কাছেও সমাদৃত হয়েছে মা-মেয়ে জুটির এই সূক্ষ্ম হাতের কাজ।