ক্যাশব্যাক হিসেবে পাওয়ার কথা ৮ হাজার টাকা। কিন্তু ব্যাঙ্কে ঢুকেছে ৮২ কোটি টাকা! একসঙ্গে এত টাকা পেয়ে রীতিমতো অবাক গোটা পরিবার। কী হল তারপর? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
কোনও লটারি তাঁরা জেতেননি। কোনও গুপ্তধনের সন্ধানও তাঁরা পাননি। তবু হঠাৎ করে তাঁদের ব্যাঙ্কে ঢুকেছে ৮২ কোটি টাকা। এত টাকা একসঙ্গে পেয়ে কার্যত অবাক হয়ে যান পরিবারের সব সদস্যই। কিন্তু এত টাকা তাঁদের কে দিল, সে কথা না ভেবেই টাকা খরচ করার কথা ভাবতে শুরু করেন তাঁরা। এদিকে কয়েক মাস পর সেই টাকা ফেরত চেয়ে এক চিঠি এলে তো মাথায় হাত পড়ে তাঁদের। হ্যাঁ, ঠিক এমনটাই ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার এক পরিবারের সঙ্গে। তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও পড়ুন: মুসলিম ডেলিভারি বয়ের হাত থেকে খাবার নিতে নারাজ ব্যক্তি, বিদ্বেষের প্রতিবাদে সরব মহুয়া
আসলে ঘটনার সূত্রপাত একটি শপিং মল থেকে। শপিং করতে গিয়ে ক্যাশব্যাক পাওয়া কোনও নতুন ব্যাপার নয়। এই পরিবারটিও তেমনই ক্যাশব্যাক হিসেবে জিতেছিলেন ১০০ ডলার। কিন্তু ভুলবশত ক্যাশব্যাক হিসেবে তাঁদের ব্যাঙ্কে ঢুকেছে ১১ মিলিয়ন ডলার! ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৮২ কোটি টাকা। এত টাকা একসঙ্গে পেয়ে সেই পরিবারের সদস্যরাও বুঝে উঠতে পারেননি আসল ব্যাপারটা ঠিক কী। তাঁরা নিজেদের মতো হিসেব করতে শুরু করে দেন কীভাবে ওই টাকা খরচ করা যায়। ছপ্পড় ফুঁড়ে পাওয়া ওই বিপুল ধনের সুবাদে আচমকাই এক বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন ওই পরিবারের মানুষেরা। দামি দামি শৌখিন জিনিসপত্র থেকে বিলাসবহুল বাড়ি পর্যন্ত, অনেক কিছুই কিনে ফেলেন তাঁরা। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে এভাবেই উড়ে যায় ওই টাকার একটা বড় অংশ। আর তারপরেই কাহানি মে টুইস্ট। যেমন হঠাৎ করে টাকা এসেছিল, তেমনই হঠাৎ করে বাড়িতে এসে পৌঁছয় একটি চিঠি। যেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, ভুলবশত ওই টাকা পাঠিয়ে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু সমস্ত টাকাই এবার ফেরত দিতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। এমনকি এত দিন সেই টাকা ওই পরিবারের কাছেই জমা ছিল বলে তা ফেরানোর সময় দিতে হবে বাড়তি সুদও। টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য রীতিমতো আইনি পদ্ধতিতেই ওই চিঠি পাঠিয়েছে সিঙ্গাপুরের এক সংস্থা। এদিকে এত টাকা খরচ করে ফেলার পর কীভাবে তা ফেরত দেবেন, তা ভাবতে গিয়েই রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা ওই পরিবারের। হঠাৎ পাওয়া এই ‘লটারি’ যে আকস্মিকভাবেই এমন বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে, তা দেখেই কার্যত হতবাক হয়ে গিয়েছে পরিবারটি।