রাজ-ঐশ্বর্য ছেড়ে গৃহত্যাগী হয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ। তাঁর পথ অনুসরণ করে সন্ন্যাসী হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু কজন আর ওমন অগাধ সম্পত্তি ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে পারেন! তবে এই সন্ন্যাসী তা পেরেছিলেন। ৪০হাজার কোটির সম্পত্তি ছেড়ে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন তিনি। কার কথা বলছি? আসুন শুনে নিই।
যে পরিবারে জন্মেছেন তা রাজপরিবারের তুলনায় কিছু কম নয়। বাবা বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের অন্যতম। মোট সম্পত্তি ৪০হাজার কোটিরও বেশি। বিশ্বের বিভিন প্রান্তে তাঁদের একাধিক সংস্থা রয়েছে। এই সবকিছুর মালিক হতেন তিনিই। কিন্তু পার্থিব সুখের প্রতি কোনও আকর্ষণ ছিল না তাঁর। তাই মাত্র ১৮ বছর বয়সেই হয়েছিলেন গৃহত্যাগী।
আরও শুনুন: ‘বোরখা পরতে চাই না, ইসলাম ছাড়তে চাই’, যোগী আদিত্যনাথের দ্বারস্থ মহিলা
ভেন আজান সিরিপন্ন। মালয়েশিয়ার এই ব্যক্তিই যাবতীয় সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন। কম বয়সে অনেকেই সন্ন্যাসধর্ম গ্রহণ করেন। কিন্তু যে অতুল সম্পত্তির মায়া কাটিয়ে তিনি এই পথে হেঁটেছেন, তা নজিরবিহীন বলেই মনে করেছেন অনেকে। একসময় ভারতেও এক বিখ্যাত টেলিকম সংস্থার মালিক ছিলেন তাঁরা। আইপিএলে সেই সংস্থার একটি দলও ছিল। সেসময় দেশের মাটিতে এই সন্ন্যাসীর পরিবার যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল। মূলত তাঁর বাবা আনন্দ কৃষ্ণানের হাতেই এই পরিবারের উত্থান। শুধু টেলিকম নয়। খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, রিয়েল এস্টেটের মতো বড়সর ব্যবসাতেও তাঁদের যথেষ্ট প্রতিপত্তি রয়েছে। বর্তমানে মোট ৯টি সংস্থার মালিক কৃষ্ণান। যার একাধিক শাখা ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। এর জোরেই এই অগাধ সম্পত্তির মালিক তিনি। বর্তমানে যার প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল তাঁর ছেলের। কিন্তু সে উপায় আর নেই। সংসারের যাবতীয় মায়া ত্যাগ করে তিনি এখন পুরোদস্তুর সন্ন্যাসী। যদিও ধর্মের প্রতি টান কৃষ্ণানেরও নেহাতই কম নয়। ছেলেকে সন্ন্যাস গ্রহণে তিনি যথেষ্ট উৎসাহ দেন তিনি। নিয়মিত দান-ধ্যানও করেন। তবে তাঁর ছেলের এই আত্মত্যাগ রীতিমতো প্রশংসা কুড়িয়েছে নেটদুনিয়ায়। সেখানে প্রায় সকলেই তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছে। আগামীদিনে তাঁর এই ধর্মের পথ আরও প্রশস্ত হোক, এই প্রার্থনাও করেছেন সকলে। তবে সামাজিক জগতের সঙ্গে সেই অর্থে কোনও যোগাযোগ রাখেন ভেন আজান। মালয়েশিয়ার বৌদ্ধমঠেই দিন কাটে তাঁর। ঈশ্বর আরাধনা আর সাধনা করাই বর্তমানে তাঁর জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। এমনটাই দাবি তাঁর পরিবারের।