সামনে থেকে দেখলে সাধারণ একটি ট্রাক। কিন্তু হঠাৎ করেই তা বদলে যেতে পারে গোটা একটা বিয়ের মণ্ডপে। এমনকি প্রায় ২০০ জন অতিথিকে নিয়ে ওই চলমান মণ্ডপটি পৌঁছেও যেতে পারে যে কোনও জায়গায়। কিন্তু কীভাবে সম্ভব হয় এমন? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
চাকা লাগানো রয়েছে আস্ত বিয়ের মণ্ডপের সঙ্গে! তাই চাকা গড়ালেই যে কোনও জায়গায় পৌঁছে যাবে গোটা বিয়ের আসরটাই। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা মিলেছে এমনই চলমান ‘বিবাহ-বাসরের’। এই অদ্ভুত যানের ভিডিওটি শেয়ার করেছেন খোদ শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা। একইসঙ্গে এই অভিনব ভাবনার কারিগরদের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন তিনি।
আরও শুনুন: মথুরার ৪০০ বছরের পুরনো মন্দিরে প্রথম মহিলা পুরোহিত, বিরোধিতায় আদালতের দ্বারস্থ পরিবার
চলমান খাবারের দোকান, চলমান চিকিৎসাকেন্দ্র, এমনকি চলমান লাইব্রেরিও চোখে পড়ে দেশের বিভিন্ন শহরে। কিন্তু বিয়ের মণ্ডপও যে ভ্রাম্যমাণ হতে পারে, এমনটা এজন কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু সেই ভাবনাকেই এবার বাস্তবে রূপ দিয়েছেন কিছু মানুষ। আর সেই কাজেরই পরিচয় মিলেছে ওই ভিডিও থেকে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি চাকা লাগানো একটি গাড়ি দিব্যি ছুটে চলেছে হাইওয়ের পাশ দিয়ে। গাড়িটি আর কিছুই নয়, একটি সাধারণ ট্রাক মাত্র। অন্তত প্রথম দেখায় তেমনটাই মনে হতে বাধ্য। কিন্তু সেই গাড়ি থামার পরেই ঘটে এক আশ্চর্য কাণ্ড। ভিতর থেকে জনাকয়েক মানুষ বেরিয়ে এসে খুলে দেন সেই ট্রাকের একটি দিক। তারপর অদ্ভুত কৌশলে তাঁরা সেই ট্রাকটির চেহারা বদলে দেন ঝাঁ চকচকে বাড়ির আদলে। ভিতরে এসি, বসার চেয়ার, রঙিন আলো। সব মিলিয়ে তৈরি হয়ে যায় বিয়ের মণ্ডপ।
আসলে এই অদ্ভুত যানটিকে তৈরিই করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ বিয়েবাড়ি হিসবে। ভিতরে রয়েছে প্রায় ১২০০ বর্গফুট জায়গা। যেখানে অন্তত ২০০ জন অতিথিকে অনায়াসেই আপ্যায়ন করা চলে। ভিডিওটির শেষে উদ্যোক্তারা হাতে কলমে দেখিয়ে দিয়েছেন, জনৈক ব্যক্তির বিয়ের আসর বসেছে এই ভ্রাম্যমাণ যানের ভিতরেই।
আরও শুনুন: ধর্মান্তরিত না হলে মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি, মুসলিম মহিলার বিরুদ্ধে ‘লাভ জিহাদ’-এর অভিযোগ যোগীরাজ্যে
প্রায়শই নিজের টুইটার প্রোফাইলে বিভিন্ন মজার কথা বা অনুপ্রেরণামূলক পোস্ট ভাগ করে নেন খ্যাতনামা ব্যবসায়ী আনন্দ মাহিন্দ্রা। সম্প্রতি এই অদ্ভুত যানের ভিডিওটি ভাগ করে নিয়েছেন তিনিই। তাঁর মতে, এই যানের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও বিলাসবহুল বিবাহমণ্ডপে অনুষ্ঠান করতে পারবেন। তার জন্য তাঁদের অনেক দূরে যাওয়ারও প্রয়োজন পড়বে না, বরং ঘরের কাছে এসে হাজির হবে মণ্ডপটিই। পাশাপাশি, এই ভ্রাম্যমাণ বিবাহমণ্ডপ কোনও বিলাসবহুল অনুষ্ঠান ভবনের মতো অনেকখানি জায়গা চিরস্থায়ী ভাবে দখল করেও থাকছে না। যে কারণে একে পরিবেশবান্ধব বলে চিহ্নিত করেছেন মাহিন্দ্রা। এই উদ্যোগটিকে সৃজনশীল এবং সুচিন্তিত বলেও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর শেয়ার করা এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই আশ্চর্য যানের ছবি দেখে উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরাও।
I’d like to meet the person behind the conception and design of this product. So creative. And thoughtful. Not only provides a facility to remote areas but also is eco-friendly since it doesn’t take up permanent space in a population-dense country pic.twitter.com/dyqWaUR810
— anand mahindra (@anandmahindra) September 25, 2022