দিন ফুরোবে মোবাইল ফোনের। বদলে আসবে অন্য কিছু। মোবাইলের জায়গায় সেই যন্ত্রই ঘুরবে সবার হাতে হাতে। কথার কথা নয়, এমনই আশঙ্কা করছেন খোদ মার্ক জুকারবার্গ। নেপথ্যে বিশেষ কারণও দেখিয়েছেন। ঠিক কী বলছেন মেটা কর্তা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
মোবাইল ছাড়া থাকতে হবে। একদিন নয়, পাকাপাকি ভাবেই। অবশ্য বাকিরাও তেমনটাই করবে। কারও অসুবিধাও হবে না তেমন। কারণ মোবাইলের বিকল্প হিসেবে আসবে অন্য কিছু। বেশিদিন নয়, এমনটা আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই হতে চলেছে। আশঙ্কা খোদ মেটা কর্তা জুকারবার্গের।
সারাদিন হাতে মোবাইল। পড়তে বসলেও বিরাম নেই। সর্বক্ষণ টাইপ চলছে। কিছু নাহলে রিল। একটার পর একটা। নেশার মতো। কীভাবে কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে যাবে, বোঝার উপায় নেই। এদিকে, মোবাইল ছাড়া কিছু ভাবাও কঠিন। দোকানের বিল মেটানো থেকে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা, সবেতেই ভরসা মোবাইল। ছোট্ট একটা যন্ত্র যা হাতে থাকলেই ঘুরে নেওয়া যাবে বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত। অনায়াসে। কিংবা মোবাইলে তোলা ছবি বছরে পর বছর জমিয়ে রাখবে স্মৃতি। কিন্তু এবার সেই যন্ত্রের প্রয়োজন ফুরোবে। এমনটাই মনে করছেন মার্ক জুকারবার্গ। বর্তমান সোশাল দুনিয়ায় একছত্র আধিপত্য মেটা-র। সেই কনগ্লোমারেটের কর্নধার জুকারবার্গ। মোবাইল না থাকলে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়তো তাঁরই। কারণ সোশাল মিডিয়ায় অধিকাংশ বাসিন্দাই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তাই মোবাইল না থাকলে, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম কীভাবে চলবে?
বিষয়টা মোটেও তেমন নয়। অর্থাৎ মোবাইল থাকবে না এমন কথা মার্ক বলেননি। তাঁর আশঙ্কা, এর প্রয়োজন ফুরোবে। আর সেই জায়গা নেবে বিশেষ এক চশমা। সাধারণ নয় মোটেও। চাইলেই মোবাইলের সব কাজ এর মাধ্যমে করে নেওয়া যাবে। কিংবা তার চেয়েও বেশি কিছু। শীঘ্রই বাজারে এই চশমা মিলবে। সম্ভবত মেটা-ই আনবে এই অভিনব চশমা। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জুকারবার্গ উল্লেখ করেছেন কম্পিউটারের কথা। বর্তমানে এই যন্ত্রের প্রয়োজনীয়া অনেকটাই কমিয়েছে মোবাইল। কিন্তু একইভাবে মোবাইলের প্রয়োজনীয়তাও কমিয়ে দেবে স্মার্ট গ্লাস, মনে করছেন মেটা কর্তা। সময় হিসেবে ২০৩০-র কথা বলেছেন জুকারবার্গ। তাঁর মতে ওই সময়ের মধ্যেই বড়সর পরিবর্তন আসবে ডিজিটাল দুনিয়ায়। এর আগে স্মার্ট ওয়াচ নিয়েও এমন আশঙ্কা করেছিলেন টেক বিশেষজ্ঞরা। মোবাইলে বিকল্প হিসেবে বাজার দখল করবে ওই ঘড়ি, একপ্রকার ধরেই নিয়েছিলেন সকলে। বাস্তবে মোবাইলের সব কাজ করাও যায় স্মার্ট ওয়াচের মাধ্যমে। তবু মোবাইল হারিয়ে যায়নি। এবার তাকে জোর টক্কর দিতে আসছে স্মার্ট চশমা। যা স্রেফ মোবাইলের প্রয়োজনীয়তা কমাবে এমন নয়, বরং আরও আধুনিক করবে নতুন প্রজন্মকে।