মাঝরাস্তায় স্নান করতে হবে। এমনটাই বাজি ধরেছিলেন এক ব্যক্তি। বাজি জিতে কড়কড়ে দশ টাকার নোট পকেটেও ঢুকিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু এই আচরণ মোটেই পছন্দ হয়নি ট্রাফিক পুলিশ মহলের। আইনবিরুদ্ধ কাজের অভিযোগে মোটা টাকা ফাইন ভরতে হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। কোথায় ঘটেছে এই কাণ্ড? আসুন শুনে নিই।
বাজি ধরে মানুষ কত কিছুই না করেন! উঁচু পাঁচিল থেকে ঝাঁপ দেওয়া কিংবা মাঝরাতে শ্মশান ভ্রমণ। গল্পে বা সিনেমায় এমন বাজি ধরার ঘটনা হামেশাই দেখা যায়। তেমনই এক ব্যক্তি বাজি ধরে ছিলেন স্নান করার। তবে সাধারণ ভাবে বাড়ির বাথরুমে নয়। মাঝরাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে স্নান করার বাজি ধরেছিলেন তিনি। বাস্তবে তা করেও ফেলেন। কিন্তু এর ফল একেবারেই ভালো হয়নি।
আরও শুনুন: ‘এখন খান, মৃত্যুর পরে দাম মেটাবেন’, রেস্তঁরার অদ্ভুত বিজ্ঞাপন ঘিরে হইচই নেটদুনিয়ায়
ঘটনাটি তামিলনাড়ুর। সেখানকার এক ব্যস্ত রাস্তার ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ভরা রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে স্নান করছেন এক ব্যক্তি। কোনওদিকে খেয়াল না করে নিজের মতো মাথায় জল ঢালছেন তিনি। নিজেই এই অদ্ভুত কাণ্ডের ভিডিও করছেন। কেউ প্রশ্ন করলে তাঁর উত্তর, প্রচন্ড গরম, তাই স্নান করে শরীর ঠিক রাখছেন। কিন্তু আসল কারণ যে একেবারেই অন্য, তা জানা গেল ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর। সেই কাজও অবশ্যই ওই ব্যক্তি নিজেই করেছেন। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে তাঁর নাম ফারুক। আর এমন কাজ করার নেপথ্যে রয়েছে বাজি ধরার ঘটনা। বন্ধুদের সঙ্গে দশ টাকার বাজি ধরে এই অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই কাজ মোটেও পছন্দ হয়নি ট্রাফিক পুলিশ মহলের। ভরা রাস্তায় এভাবে স্নান করা আইনসিদ্ধ নয়। তাই ফারুককে মোটা টাকার ফাইন ভরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাজি জিতে যতই আনন্দ হোক, পুলিশি নির্দেশে সেই ফাইনও ভরতে হয়েছে তাঁকে। ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘনের জেরে ৩৫০০ টাকা ফাইন দিয়েছেন তিনি। তবে ঘটনায় বেজায় শোরগোল শুরু করেছে নেটদুনিয়া। সকলেই ওই যুবকের কাণ্ড দেখে হাসির রোল তুলেছেন। অন্যদিকে তাঁর ফাইন ভরার ঘটনায় সমবেদনাও জানিয়েছেন কেউ কেউ। তবে ফারুক যেভাবে সাহস করে ভরা রাস্তায় স্নান করেছেন, তা অনেকেরই কাছেই প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। তাঁর এই অদ্ভুত কির্তিকলাপ নয়, বাহবা দেওয়া হয়েছে তাঁর সাহসের।