কেউ হতে চান কুকুর, কেউ নেকড়ে। অভিনব সব সাজের শখ মেটাতেই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেন এঁরা। নিজেকে যাতে একেবারে আসল নেকড়ের মতো দেখতে লাগে, তা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি ১৮ লক্ষ টাকা খরচ করে বসেছেন এক ব্যক্তি। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
নিজেকে মানুষের মতো দেখতে লাগলে হবে না। এই ব্যক্তির আশ্চর্য শখ, যাতে তাঁকে পশুর মতো দেখতে লাগে। আর সেই শখ পূরণের জন্য মোটা টাকা খরচ করতেও পিছপা নন তিনি। তবে হ্যাঁ, যে কোনও পশুর আকৃতি পেতে চান না তিনি। সে বিষয়েও নির্দিষ্ট পছন্দ রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি তিনি চেয়েছিলেন নেকড়ের মতো আকৃতি পেতে। আর তার জন্যই তিন মিলিয়ন ইয়েন অর্থাৎ জাপানি মুদ্রা খরচ করে বসেছেন এই ব্যক্তি। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা।
আরও শুনুন: ৭টি দুর্ঘটনাতেও হয়নি মৃত্যু, লটারিও জেতেন বিশ্বের সবচেয়ে ‘ভাগ্যবান’ ব্যক্তি
ঠিক কী করেছেন ওই ব্যক্তি?
না, কোনোরকম বড়সড় অস্ত্রোপচারের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নেননি তিনি। বরং বানিয়েছেন একটি অভিনব পোশাক, যা দেখতে নেকড়ের চামড়ার মতোই। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই জীবজন্তুদের প্রতি গভীর ভালবাসা রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি টিভি-র বিভিন্ন শো-এ একাধিক মানুষকেই পশুর মতো সেজে অভিনয় করতে দেখে ওই রিয়ালিস্টিক কস্টিউমগুলির প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। জেপেট নামে একটি সংস্থাকে তিনি দায়িত্ব দেন, ওই জাতীয় একটি পোশাক বানিয়ে দেওয়ার জন্য। এর আগেও এক ব্যক্তির জন্য একটি কুকুরের পোশাক বানিয়ে দিয়েছিল সংস্থাটি। তাতে খরচ পড়েছিল ১২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। এই ব্যক্তিকেও ফেরায়নি সংস্থাটি। নেকড়ের পোশাকের জন্য অবশ্য খরচ বেড়েছে আরও কয়েক লক্ষ টাকা।
আরও শুনুন: চুল ফেলনা নয়! ফেলে দেওয়া চুলই দূষণ কমাবে পরিবেশের, কীভাবে?
পোশাকটি যাতে শরীরের ঠিকমতো মাপসই হয়, তা দেখার জন্য বেশ কয়েকবার সংস্থার স্টুডিয়োতে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। অবশেষে ৫০ দিন পরে পুরোপুরি তৈরি হয়ে তাঁর হাতে এসেছে ওই পোশাক। যা পরলে কোনোভাবেই মানুষ বলে চেনার উপায় নেই। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, নিজেকে ওই পোশাক পরে আয়নাতে দেখার পর রীতিমতো চমকে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি সংস্থাটিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, পোশাকটি দেখতে এমন হবে যেন একটি নেকড়ে পিছনের দুই পায়ে ভর দিয়ে হাঁটছে। ঠিক সেইভাবে পোশাকটি বানানো সহজ ছিল না মোটেই। কিন্তু সেই অসাধ্য সাধন করেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি ওই আবরণের ভেতরে যাতে নিঃশ্বাস নিতে কোনোরকম সমস্যা না হয়, সেদিকেও নজর ছিল তাদের। দীর্ঘদিনের ইচ্ছে পূরণ হওয়ার দরুন আনন্দে আটখানা ওই ব্যক্তিও।