ঘর সাজানোর জন্য নতুন আসবাব কিনতে চান? তাতে তো টাকা খসাতে হবে আপনার পকেট থেকেই। কিন্তু যদি উলটোটা হয়? ঘরে নতুন জিনিসও এল, সঙ্গে টাকাও! এমনটাই ঘটেছে এক ব্যক্তির সঙ্গে। কীভাবে? শুনে নিন।
জিনিস বিক্রি করে নয়, জিনিস কিনেই হাতে এল টাকা। তাও এক দুই টাকা নয়, আক্ষরিক অর্থেই কোটি টাকা হাতে পেলেন এক ব্যক্তি। না, মোটেও লটারির টিকিট কেনেননি তিনি। কেনেননি কোম্পানির শেয়ার-এর মতো কোনও কিছু। কেবল একটি আসবাব কিনেছিলেন তিনি। আর তার দৌলতেই একেবারে অবিশ্বাস্যভাবে বিপুল অর্থ হাতে এল ওই ব্যক্তির।
আরও শুনুন: অবাক কাণ্ড! হোটেলের খরচ লাগেই না অথচ সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ায় এই পরিবার, কীভাবে?
ব্যাপারটা তাহলে খুলেই বলা যাক।
নিজের ঘরটিকে মনের মতন করে সাজাতে কে না চায়! কিন্তু তার জন্য যে প্রয়োজন প্রভূত অর্থের। আর যদি তা না থাকে, তাহলে? সেক্ষেত্রে নতুন জিনিসের বদলে আপনার ইচ্ছাপূরণে সহায়তা করতে পারে সেকেন্ডহ্যান্ড স্টোর। ঠিক যেমনটা হয়েছিল এই ব্যক্তির ক্ষেত্রে। জার্মানির বাসিন্দা টমাস হেলার, অনলাইন সাইট থেকে একটি সেকেন্ডহ্যান্ড কিচেন ক্যাবিনেট কিনেছিলেন। এক বয়স্ক দম্পতির বাড়িতে থাকা ওক কাঠের শৌখিন আসবাবটি খানিক দরাদরির ফলে রীতিমতো সস্তাতেই তাঁর হস্তগত হয়েছিল। অন্তত ৫০ পাউন্ড বাঁচিয়ে খুশিই হয়েছিলেন হেলার। কিন্তু সেই আসবাবের সূত্রে যে আরও বড় খুশির খবর তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে, এ কথা তিনি অনুমান করতেও পারেননি। সে কথা জানা গেল, যখন ক্যাবিনেটটি ব্যবহার করতে গিয়ে তাঁর হাতে ঠেকল কাবার্ডের মধ্যে থাকা দুটি মোটাসোটা খাম। একটি খাম খুলতেই চমকে ওঠার পালা! তার মধ্যে রয়েছে রাশি রাশি ১০০ ইউরোর নোট।
আরও শুনুন: প্রথমে ছিলেন বেঁটে, পরে বেজায় লম্বা… অদ্ভুত রূপান্তরে বিশ্ববাসীকে অবাক করেছিলেন এই ব্যক্তি
দুটি খাম মিলিয়ে কত টাকা রয়েছে, তা অনুমান করা মোটেই কঠিন ছিল না ওই ব্যক্তির পক্ষে। কিন্তু আশ্চর্য ঘটনাটি ঘটে এর পরেই। পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতো এত টাকা হাতে এলেও, তার থেকে একটি নোটও আত্মসাৎ করেননি ওই ব্যক্তি। উপরন্তু সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর সামনেই দ্বিতীয় খামটি খোলে পুলিশ। দেখা যায় সেখানে টাকার অঙ্ক আরও বেশি। ২০০ আর ৫০০ ইউরোর নোটে ঠাসা ছিল সেই খামটি। সব মিলিয়ে দেখা যায় দুটি খামে থাকা টাকার মোট পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দেড় কোটি টাকা।
ওই ব্যক্তির এহেন সততার পরিচয় পেয়ে অবাক সকলেই। আপাতত কে ওই ক্যাবিনেটটির আসল মালিক ছিলেন, তারই খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।