তিনি নাকি ইংল্যান্ডের রাজপরিবারের অন্যতম উত্তরসূরী। নিজেকে তৃতীয় চার্লস ও ক্যামিলা-র অবৈধ সন্তান হিসেবে দাবি করে কার্যত সিংহাসনের দিকেই হাত বাড়ালেন এক ব্যক্তি। এমনকি আইনি পথে সেই দাবিকে সত্য প্রমাণ করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কে সেই ব্যক্তি, যিনি রাজপরিবারকে এমন অদ্ভুত বিতর্কের সামনে দাঁড় করালেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
রীতিমতো জোর গলায় নিজেকে রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে দাবি করেছেন তিনি। রাজা চার্লস ও রানি ক্যামিলার অবৈধ সন্তান হিসেবে তাঁর শরীরেও নাকি বইছে রাজরক্ত। তাই নিজের দাবি সত্যি প্রমাণ করে আইনি পথেই ফিরে পেতে চান নিজের অধিকার।
আরও শুনুন: হরিদ্বারের ঘাটে হিন্দি গানের সঙ্গে উদ্দাম নাচ, পুণ্যতীর্থের ‘অমর্যাদা’র অভিযোগে সরব হিন্দুত্ববাদীরা
রানির মৃত্যুর পর থেকেই কিছুদিন যাবৎ সংবাদপত্রের শিরোনাম দখল করেছে ইংল্যান্ডের রাজপরিবার। কখনও বিতর্ক, কখনও স্মৃতিচারণা, সব মিলিয়ে বিশ্ব জুড়েই চলছে রাজপরিবারের চর্চা। এরই মাঝে এক নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করে শিরোনামে উঠে এসেছেন এই ব্যক্তি। সিমোন ডোরান্ট-ডে নামের এই ব্যক্তির বয়স বছর ৫৬। কয়েক দশক ধরে নিজের বংশপরিচয় নিয়ে রীতিমতো গবেষণা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। আর সেই সূত্রেই তিনি আবিষ্কার করেছেন নিজের এই পরিচয়। প্রথমে নিজের দাবি নিয়ে তিনি সরব হয়েছিলেন নেটমাধ্যমে। রানির মৃত্যুর পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে তিনি ডাক পান তাঁর দাবি নিয়ে বক্তব্য রাখার জন্য। আর সেখানেই তিনি দাবি করেছেন, ইংল্যান্ডের বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লসের অবৈধ সন্তান তিনি। রাজা ডিএনএ পরীক্ষায় অংশ নিলেই সেকথা প্রমাণ করে দিতে পারেন তিনি, এমনটাই দাবি ওই ব্যক্তির। এই মর্মে আদালতে একটি মামলাও করেছেন তিনি। যদিও চার্লসের রাজা হওয়ায় সে মামলা আদৌ বৈধতা পাবে কি না সে বিষয়ে যথেষ্ট চিন্তা ছিল তাঁর। কিন্তু আদালতের পক্ষ থেকে তাঁকে নিশ্চিন্ত করে জানানো হয়েছে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাই তাঁর দাবিও বিচার করে দেখা হবে।
আরও শুনুন: কোহিনূর হিরের আসল মালিক প্রভু জগন্নাথ! পুরীর মন্দিরে রত্ন ফেরতের দাবিতে সরব সংগঠন
ওই ব্যক্তির দাবি, আগেও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে তাঁর দাবি জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি উল্লেখও করেছিলেন রানি যেন তাঁর পুত্রকে ডিএনএ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য রাজি করান। কিন্তু সেই চিঠির কোনও প্রত্যুত্তর আসেনি। অগত্যা নিজের লড়াইয়ের জন্য শেষমেশ আইনি পথই বেছে নিয়েছেন এই ব্যক্তি।