কথায় বলে, কার যে কোথায় মজে মন… কেই-বা তার খবর রাখে? কিন্তু তা বলে একটা শিম্পাঞ্জির সঙ্গে কি একজন মহিলার প্রেম হতে পারে! কী ভাবছেন! এসব একেবারেই আবোল-তাবোল কথা! শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এ কিন্তু একেবারে যাকে বলে নির্জলা সত্যি।
রোমিও-জুলিয়েট, হীর-রান্ঝা – প্রণয়ীদের আশ্চর্য সব জুটি আমাদের মন ছেয়ে আছে। সে সব গল্পে আমরা দেখেছি, প্রেমের জন্য কোনও বাধাই তাঁরা মেনে নেননি। সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে তৈরি। বাস্তবেও আমরা দেখি, প্রণয়ীদের কাছে কোনও বাধা, কোনও নিয়মই যথেষ্ট নয়। তাঁদের বাধা দিলেই বরং বাধবে লড়াই।
এই প্রেমের ক্ষেত্রে কখন যে সমস্ত বাধা, নিয়ম, এমনকী প্রচলিত ধারণা কীভাবে অতিক্রম করে ফেলেন প্রেমিক-প্রেমিকারা, তা বুঝে ওঠা ভার। কেননা, যদি বলি একজন মহিলা প্রেমে পড়েছেন চিড়িয়াখানার এক শিম্পাঞ্জির, আপনি নিশ্চয়ই ভীষণ অবাক হবেন। ভাববেন, আষাঢ়ে গপ্পো করছি। কিন্তু এ হল, গল্প হলেও সত্যি। সত্যি সত্যিই এক মহিলা প্রেমে পড়েছেন এক শিম্পাঞ্জির। আর তার জন্য পড়েছেন শাস্তির মুখেও।
আরও শুনুন: মাছেরাও নাকি হয়ে পড়ছে নেশায় আচ্ছন্ন! কেন হচ্ছে এমনটা?
মহিলার নাম, আদেই টিমারম্যানস। বেলজিয়ামের বাসিন্দা তিনি। গত চার বছর ধরে তিনি বেলজিয়ামের এক চিড়িয়াখানায় নিয়মিত যান। সেখানে এক শিম্পাঞ্জি থাকে। মহিলার আকর্ষণ তাঁর প্রতিই। শিম্পাঞ্জিটিকে ডাকা হয় চিতা নামে। বছর চল্লিশ বয়স সেই পুরুষ শিম্পাঞ্জিটির। বেশ ভালোই চলছিল দুজনের দেখাশোনা। মন দেওয়া-নেওয়াও হয়েছিল। দুজনেরই থাকে দুজনের জন্য অপেক্ষা। ব্যাপারটা খেয়াল করেছিলেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মহিলাকে কিছুতেই আসতে মানা করতে পারছিলেন না, কেননা তা যুক্তিসঙ্গত নয়। একদিন মহিলা নিজের মুখেই প্রেমের কথা কবুল করে ফেললেন। জানালেন, তাঁর এবং শিম্পাঞ্জিটির মধ্যে অদ্ভুত একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। যাকে প্রেমই বলা চলে। তিনি সাফ জানান, শিম্পাঞ্জিটির সঙ্গে তিনি প্রেমই করছেন। এরপরই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাঁকে আর আসতে বারণ করেন। শিম্পাঞ্জিটির সঙ্গে তাঁর দেখাশোনাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেননা, কর্তৃপক্ষ খেয়াল করেছিলেন, মহিলার সঙ্গে শিম্পাঞ্জির এই প্রণয়ের কারণেই, অন্যান্য শিম্পাঞ্জিরা চিতার সঙ্গে একরকম দূরত্ব তৈরি করেছিল। বদলে যাচ্ছিল চিড়িয়াখানার পরিবেশ। আর তাই, একটু কঠোর হলেও এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হন তাঁরা।
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।