চোদ্দ ঘণ্টায় ১০১ জনের সঙ্গিনী হতে হয়েছিল তরুণীকে। এ কথা শুনেই আঁতকে উঠেছেন অনেকে। তবে, এই পথ কি তিনি স্বেচ্ছায় বেছে নিয়েছেন? নাকি পরিস্থিতির শিকার! নেটদুনিয়ায় বিতর্ক জমে উঠতে জবাব দিয়েছেন তিনি নিজেই। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
সময় মাত্র ১৪ ঘণ্টা। আর তার মধ্যেই ১০১ জনের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছেন এক তরুণী। সাম্প্রতিক এই ঘটনা ঝড় তুলেছে নেটদুনিয়ায়। উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। আর তার জবাবও দিয়েছেন লিলি ফিলিপ নামে ওই তরুণী।
পেশায় তিনি একজন অ্যাডাল্ট এন্টারটেইনমেন্ট তারকা। এই কাজ নিয়ে তাঁর প্রতি অন্যান্যদের কটাক্ষ ছিল বরাবরই। আর সেই চাপানউতোরকেই এবার আরও খানিকটা উসকে দিতে তিনি ঘটিয়েছেন এই কাণ্ড। ১০১ জন পুরুষের সঙ্গ করে, সেই খবরটি নিজেই ভাগ করে নিয়েছেন নেটদুনিয়ায়।
কিন্তু এমন কাণ্ড ঘটানোর নেপথ্য কারণ কী ছিল? স্পষ্ট কথায় তিনি তা জানিয়েও দিয়েছেন। তিনি আসলে যাচিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন, তাঁর এই কাজের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক কেমন। সে দৃষ্টি কি নিছক ঘৃণার নাকি কৌতূহলের?
শুনতে অবাক হলেও এটাই সত্যি। তিনি তাঁর পেশাকে হাতিয়ার করে শুধু চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চেয়েছিলেন তথাকথিত মার্জিত, সংস্কৃতিবান মানুষের কাছে দিকে। এবং এক্ষেত্রে তিনি খানিকটা সফলও হয়েছেন বলা যায়। সমাজমাধ্যমে আসা কমেন্টগুলিতে দেখা গিয়েছে তাঁর প্রতি শুরুর দিকে যতটা ঘৃণার মনোভাব ছিল মানুষের, ধীরে ধীরে তা উদ্বেগে পরিণত হয়েছে। তাঁর শারীরিক সুস্থতা নিয়ে বাকিরা জানতে চাইলে, লিলি জানিয়েছেন যে, তাঁর মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা ঠিকই আছে। একই সঙ্গে তিনি আর একটি দিকেও সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, পেশাগত কারণে তিনি স্বেচ্ছায় এই কাজ করেছেন। তাই তা নিয়ে চর্চা করা বৃথা। বরং যাঁরা সত্যিকার ভিক্টিম, তাঁদের নিয়ে চিন্তা ও উদ্বেগ প্রকাশ করাই বাঞ্ছনীয়। তিনি যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, মানুষ যে বিষয়ে দরকার তার বাইরেই কথা বলেন বেশি।
আর এই কথা বলেই থামেননি লিলি। তিনি ঘোষণা করেছেন যে তাঁর পরবর্তী প্রকল্প হল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক হাজার পুরুষের সঙ্গ করা। এই সমাজে সকলের অধিকার আছে তাঁর নিজের নিজের মতো কাজ খুঁজে নেওয়া এবং তাতে সুখী থাকা। তাই লিলি যদি তাঁর কাজে স্বচ্ছন্দ হয়ে থাকেন, এ বিষয়ে কারও কিছু বলার থাকে না। সব শুনে আপাতত নেটিজেনদের বক্তব্য এটুকুই।