চকোলেট খেতে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর তা যদি রংবেরঙের ক্যান্ডি হয়, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু খেয়াল করে দেখেছেন, এক বিশেষ ধরনের ক্যান্ডির মাঝে ছিদ্র করা থাকে। বিশেষত পোলো কিংবা ওই জাতীয় কিছু ক্যান্ডিতে খুব স্পষ্টভাবে সেই আকৃতি লক্ষ করা যায়। কী কারণ রয়েছে এর নেপথ্যে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
জনপ্রিয় এক ক্যান্ডি। কখনও রংচঙে। আবার কখনও একদম সাদা। তবে এই সবকটি লজেন্সেরই বিশেষ এক মিল রয়েছে। প্রত্যেকটির মাঝেই রয়েছে একটা ছিদ্র। জানেন কি, এই ছিদ্র আসলে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই রাখা হয়?
আরও শুনুন: লিখতে হবে নিজেদের মৃত্যুর খবর, পড়ুয়াদের অভিনব প্রশ্ন দিয়ে চাকরি খোয়ালেন শিক্ষক
সে প্রসঙ্গে আসার আগে, জেনে নেওয়া যাক এই ক্যান্ডির জন্ম হল কীভাবে?
শুরুটা বলতে গেলে সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। সর্বপ্রথম এই আকৃতির যে ক্যান্ডি তৈরি হয়েছিল তা এখনও সমান ভাবে জনপ্রিয়। সাদা রঙের ছিদ্র যুক্ত এই লজেন্সের নামই পোলো। মুখে দিলেই ঠাণ্ডা অনুভূতি। ঠিক যেন বরফের দেশে পৌঁছে গিয়েছেন। এই বৈশিষ্ট্যের জন্যই এর এমন নাম রাখা হয়েছে। আসলে দুই মেরু বা পোলার রিজিওনের কথা ভেবেই এই লজেন্সের নাম রাখা হয়। কিন্তু এর মাঝে ছিদ্র রাখার কারণটা অবশ্য একেবারেই আলাদা। শোনা যায়, সেই সময় প্রায়শই শিশুমৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু। যার প্রধান কারণ হিসেবে ছিল বিভিন্ন ক্যান্ডি। খাওয়ার সময় অসাবধানে কোনও ক্যান্ডি গিলে নিলে তা শ্বাসনালীতে আটকে মৃত্যু হত ওই শিশুগুলির। এর থেকেই কিছু ক্যান্ডি নির্মাতা সিদ্ধান্ত নেন তাঁদের লজেন্সের ভিতর একটা করে ছিদ্র রাখবেন। যাতে ভুল করে সেই ক্যান্ডি গলায় আটকে গেলেও, শ্বাস নিতে পারা যায়। এই পদক্ষেপ সর্বপ্রথম নিয়েছিলেন পোলো ক্যান্ডির নির্মাতারা। তাঁরা ওইভাবেই তাঁদের ক্যান্ডি তৈরি করতে শুরু করেন। এত বছর পরেও যা এতটুকু বদলায়নি।
আরও শুনুন: খেতে সাধ তবু পকেটে টান! এবার EMI-তে আলফানসো কিনতে পারবে মধ্যবিত্ত
পরে অবশ্য তাঁদের দেখদেখি আরও অনেক ক্যান্ডির মাঝেই অমন ছিদ্র রাখার নিয়ম শুরু হয়। শুধুমাত্র মিন্ট জাতীয় লজেন্স নয়, অন্যান্য ফ্লেভারের ক্যান্ডির ক্ষেত্রেও এমন ধারার প্রচলন শুরু হয়। বলতে গেলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ে। তবু পোলো ক্যান্ডি তার ওই অদ্ভুত আকৃতির কারণে বিশেষ এক পরিচয় পেয়েছেই। এতদিন পরেও যা একইভাবে বজায় রয়েছে। আর সেই পরিচিতি আসলে শিশুদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই।