যৌনজীবনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে কত না আদবকায়দা! রমণীয় পরিবেশে যৌনতা সারতে রাজকীয় আয়োজন করেন কেউ কেউ। তা সত্ত্বেও হয়তো সেভাবে যৌনতৃপ্তি মেলে না। এক্ষেত্রে বাজিমাত করতে পারে এক বিশেষ অন্তর্বাস। যৌনতার সময়ও যা আলাদা করে খোলার দরকার নেই। প্রয়োজন মতো খেয়ে নিলেই কাজ হবে। ভাবছেন তো এমনটা কীভাবে সম্ভব? আসুন শুনে নিই।
যৌনতার আগে সঙ্গীর উত্তেজনা বাড়াতে অন্তর্বাসের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাই বাজারে অন্তর্বাসের হাজারও রকমফের দেখা যায়। কোনওটা একেবারে ফিনফিনে, কোনওটার রং আবার চোখ টানতে বাধ্য করবে। যদিও সঙ্গমের সময় অন্তর্বাস কার্যত অপ্রয়োজনীয়। উদ্দাম যৌনতার সময় শরীরে সুতোটি রাখা প্রয়োজন পড়ে না। তবে এমনও এক অন্তর্বাস রয়েছে যা যৌনতার আগেও আলাদাভাবে খোলার দরকার নেই। কারণ এই অন্তর্বাস আসলে খাওয়া যায়।
আরও শুনুন: অন্ধকারেই যৌনতার অভ্যাস! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুল হচ্ছে, বরং…
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। বাজারে এর চাহিদাও নেহাতই কম নয়। আর হবে নাই বা কেন! এমনিতে যৌনতার সঙ্গে যদি কোনও ফ্লেভার বা স্বাদের যোগ থাকে, তবে তা স্রেফ কন্ডোমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কন্ডোম কোনওভাবেই খাওয়া সম্ভব না। কিন্তু এই অন্তর্বাস পুরোটাই খেয়ে নেওয়া সম্ভব। বিশেষ এই অন্তর্বাসের পোশাকি নাম ক্যান্ডি লঁজারি, অনেকে স্রেফ ক্যান্ডি ব্রা-ও বলে থাকেন। আসলে এই অন্তর্বাস তৈরিই হয় ক্যান্ডি বা চকোলেট দিয়ে। আগেকার দিনে রাজ রাজার দরবারে, নর্তকীরা এক বিশেষ অন্তর্বাস পরতেন। যা কোনও কাপড় দিয়ে নয়, হীরে,মুক্তো এসব দিয়ে তৈরি করা কথা। স্তন এবং যৌনাঙ্গ দুই ক্ষেত্রেই ওই রত্ন খচিত অন্তর্বাস পরার চল ছিল। অনেকটা সেইরক দেখতে এই ক্যান্ডি লঁজারি। তফাৎ বলতে উপাদানের। কোনও রত্ন নয়, এক্ষেত্রে ছোট ছোট ক্যান্ডি জুড়ে তৈরি করা হয় অন্তর্বাস। সেখানেই নানা ধরনের ফ্লেভার ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও শুনুন: উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য লুকিয়ে উদ্দাম যৌনতায়… কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
জানা যায়, এই বিশেষ অন্তর্বাস তৈরি হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। ভেবেই দেখুন এতদিন ধরে এমন অন্তর্বাস রীতিমতো ছেয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। এই ব্যবসায় রীতিমতো লাভ হয়, এমন দাবিও করেন অনেকে। একেবারে খোলা বাজারে হয়তো এমন জিনিস পাওয়া নাও যেতে পারে। অনলাইনে খোঁজ করলে মিলতে পারে। তবে খাওয়া গেলেও, এই অন্তর্বাসের মূল চাহিদা আদুরে ভাব জমাতেই। সঙ্গীর নগ্ন শরীরকে আরও উদ্দীপ্ত করতে এর জুড়ি মেলা ভার। যৌনতার আগে এই উদ্দীপনা যেন যুগলদের অনেকখানি ঘন যৌনতায় রত হতে সাহায্য করে। তাই কর্মব্যস্ত দিনের শেষে যদি যৌনতাপে মজে যেতে ইচ্ছে করে, তবে মুশকিল আসান এই ক্যান্ডি লঁজারি। আর তাই যুগলদের মধ্যে এমন জিনিসের চাহিদা যে তুঙ্গে হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
View this post on Instagram