সময় মাত্র ৩০ বছর। এর মধ্যেই ১০০ জন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন এই ব্যক্তি। অথচ কারও সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়নি। তাহলে, ঠিক কীভাবে মহিলাদের বিয়ের জন্য রাজি করাতেন তিনি? আর এমন কাণ্ড কে-ই বা ঘটিয়েছিলেন? আসুন শুনে নিই।
একাধিকবার বিয়ের পিঁড়িতে অনেকেই বসেন। কিন্তু তাই বলে কেউ ১০০ বার বিয়ে করেছেন এমনটা শুনেছেন? তাও আবার মাত্র ৩০ বছরের ব্যবধানে। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। স্রেফ এতবার বিয়ে করেই বিশ্বরেকর্ডের খাতায় নাম তুলেছিলেন এই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: পৃথিবী নাকি ঘুরছে না! পাক যুবকের আজব দাবিতে হাসির রোল নেটপাড়ায়
কথা বলছি, জিওভান্নি ভিগলিওত্তো (Giovanni Vigliotto) সম্পর্কে। মাত্র ৩০ বছরের মধ্যেই তিনি ১০০-রও বেশি মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। মার্কিন মুলুকের বাসিন্দা এই যুবকের কাছে বিয়ে করা ছিল খানিকটা নেশার মতো ব্যাপার। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি প্রথম বিয়ে করেন। তারপর আগামী ৩০ বছর থামেননি। শুনে অদ্ভুত লাগলেও, জিওভানির জীবনে বিয়ে করা ছিল ঠিক এরকমই। তাঁর যখন ৫৩ বছর বয়স অর্থাৎ মাঝের ৩০ বছরে তিনি ১০০-রও বেশি মহিলাকে বিয়ে করে ফেলেছেন। কিন্তু সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল, এঁদের কারও সঙ্গেই তিনি থাকতেন না। বিয়ের পর হাতে গোনা কয়েকদিন যোগাযোগ রাখতেন, তারপর চুকিয়ে দিতেন সেই পাটও। কিন্তু ডিভোর্স দিতেন না কাউকেই। স্রেফ ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করে একের পর এক বিয়ে করে যেতেন। ধরা পড়ার ভয়, এক জায়গায় থাকতেনও না বেশিদিন। মার্কিন প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে বেড়াতে হত তাঁকে। কখনও অন্য দেশেও যেতে হত। কিন্তু কতদিন আর এভাবে কাটানো যায়। ধরাও পড়লেন এরপরই। তাঁর বিরুদ্ধে মূলত জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিলেন অনেকেই। বিশেষত তাঁর বিবাহিত স্ত্রী দের অনেকেই আসল সত্যি জানার পর রীতিমতো চটে যান। জানা যায়, কোনও মহিলাকে পছন্দ হলেই নানা অছিলায় তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন জিওভান্নি। অনেকেই সেই প্রস্তাবে রাজি হতেন। সকলকেই নিজের মিথ্যে পরিচয় দিতেন তিনি। বলতেন, তাঁর বাড়ি বহুদূরে। তাই বিয়ের পরেই সেই মহিলাকে নিয়ে সেখানে যাওয়ার প্রস্তাব দিতেন। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা করতেন না কোনওদিনই। সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে ওই জায়গায় রেখেই তিনি নতুন বিয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে পালিয়ে যেতেন।
আরও শুনুন: পরকীয়ায় বেশি ঝোঁক কোন পেশার মহিলাদের? সমীক্ষায় ফাঁস পুরুষদের কীর্তিও
ধরা পড়েও অবশ্য নিজেকে নির্দোষ হিসেবেই দাবি করেন জিওভান্নি। তাঁর যুক্তি ছিল, মহিলারাই তাঁকে বিয়ের জন্য প্ররোচিত করতেন। কিন্তু বিচারকের সামনে সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি। বিচারে ৩৪ বছরের জন্য কারাদন্ডের সাজা পান তিনি। সেইসঙ্গে প্রায় ২.৭৫ কোটি টাকা জরিমানাও দিতে বলা হয় তাঁকে। কিন্তু এরপর তিনি আর বেশিদিন বাঁচেননি। জেলের মধ্যেই মৃত্যু হয় জিওভান্নির। কিন্তু এতবার বিয়ের দরুন মৃত্যুর পর এক অদ্ভুত স্বীকৃতি পান জিওভান্নি। বলা বাহুল্য, এমন নজির বিশ্বে আর কারও নেই। তাই বিশ্বরেকর্ডের খাতায় জিওভান্নির নাম ওঠে। কিন্তু বেঁচে থাকতে তা দেখে যাওয়ার সুযোগ পাননি এই বিয়ে পাগল ব্যক্তি।