আস্ত একটা দেশ, যেখানে কোনও হাসপাতাল নেই। ৯৬ বছর ধরে একটিও শিশু জন্মায়নি সে দেশে। অথচ সুযোগ সুবিধার এতটুকু খামতি নেই। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর সবই অত্যাধুনিক। তাহলে হাসপাতাল গড়তে কেন নারাজ সে দেশের সরকার? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ! কিছুদিনের মধ্যেই ভারতের মাথায় এই শিরোপা উঠতে পারে। তাতে রীতিমতো আশঙ্কায় ভুগছেন বিশেষজ্ঞরা। সকলেই মনে করছেন, অবিলম্বে জনহার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সচেতন হওয়া উচিত ভারতের। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে কই! হাজার চেষ্টা করেও প্রায় কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে এমন এক দেশও রয়েছে যেখানে ৯৬ বছর ধরে কোনও শিশু জন্মায়নি।
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। কথা বলছি, ভ্যাটিকান সিটি সম্পর্কে। রোমান ক্যাথলিক চার্চের হেডঅফিস বলাই যাই একে। এছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশও এটিই। ১৯২৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ভ্যাটিকান সিটি, আর সেই থেকে এখানে কোনও শিশুর জন্ম হয়নি। অবশ্য তার একটা বড় কারণ রয়েছে। এতদিনেও ওই দেশে কোনও হাসপাতাল তৈরি হয়নি। ছোটখাটো স্বাস্থ্যকেন্দ্রও নেই। কাজেই প্রসবের মতো জটিল বিষয় পরিচালনা করার মতো কোনও পরিকাঠামো নেই ওই দেশের। তাহলে কেউ অসুস্থ হলে কী হয়?
সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য শহরে। অনেকটা পাহাড় ঘেরা গ্রামের মতো পরিস্থিতি! তবে সেখানে হাসপাতাল তৈরি না হওয়ার বড় কারণ ভৌগলিক অসুবিধা। এখানে সে বালাই নেই। তা সত্ত্বেও কোনও হাসপাতাল তৈরি হয়নি। ঠিক কেন, সেই নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে মোটের উপর মনে করা হয়, কাছেই ভালো হাসপাতাল থাকায় এখানে আর নতুন করে কিছু তৈরি করা হয়নি। আসলে, এই শহরে রোমের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। প্রাচীনত্ব এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে এই শহর দেশের তকমা পেয়েছে। তবে নামেই দেশ, কারও কোনও সমস্যা হলেই ছুটতে হয় অন্য শহরে। যদিও শহরের বাসিন্দা নামমাত্র। সবমিলিয়ে ১০০০ জন, তাও অধিকাংশই স্থায়ী বাসিন্দা নন। তবে শহরে পর্যটকের ভিড় হয় ভালমতো, তাঁরা হঠাৎ অসুস্থ হলে সমস্যায় পড়েন বইকী!