চাই শান্তিতে ঘুম! ব্যাস এটুকুই কাম্য। কিন্তু চাইলেও তা মিলছে কই! রোজের ব্যস্ততায় ঘুমের দফারফা স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই শান্তির খোঁজ পেতে শুরু হয়েছে নতুন ভ্রমণব্যবস্থা। নাম স্লিপ ট্যুরিজম। ঠিক কেমন এই পর্যটন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ঘুম মানুষের বার্থ রাইট। জন্মেছে বলেই তাকে যেমন জাগতে হবে, তেমনই ঘুমোতে হবে। ঠিমতো ঘুম না হলে শরীর খারাপ নিশ্চিত। এদিকে, কাজের চাপ আর মানসিক অস্তিরতা ঘুমের দরজায় তালা দিয়েছে। চাইলেও, শান্তির ঘুম যেন অধরা মাধুরী। এই পরিস্থিতি সামলাতেই বাজারে এসেছে, স্লিপ ট্যুরিজম। সহজ করে বললে, এমন এক ভ্রমণ যা নিশ্চিত করবে শান্তির ঘুম।
শরীর সুস্থ রাখতে অন্তত ৮ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন। এমনটা বলেন বিশেষজ্ঞরাই। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না অনেকের ক্ষেত্রেই। হয়তো তাৎক্ষনিক কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে কম ঘুম সমস্যার কারণ হতেই পারে। আজকের দুনিয়ায় অনেকেরই পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। সংখ্যাটা লাফিয়ে বেড়েছে করোনাকালে। তবে সমস্যা মেটাতে হাজির নয়া এক পর্যটন। যার পোশাকি নাম, স্লিপ ট্যুরিজম। ব্যাপারটা ঠিক কী?
তাহলে খুলেই বলা যাক! এমনিতে শীতকাল এলেই সবার মনেই ঘুরু ঘুরু ভাব আসে। কেউ পাহাড়ে, কেউ সমুদ্রে, আবার কেউ ঐতিহাসিক জায়গায় যেতে বেশি পছন্দ করে। কারণ একটাই, রোজকার কাজের চাপ কমানো। ঘুরতে গিয়ে একটু মানসিক শান্তির খোঁজ করা। আর এখান থেকেই জন্ম স্লিপ ট্যুরিজমের। এক্ষেত্রে ভ্রমণের উদ্দেশ্য পাহাড় বা সমুদ্র দেখা নয়, স্রেফ ঘুমানো। অন্তত ৮ ঘণ্টা। ভালো ভালো খাবার খাওয়া, সারাদিন নিজের মতো আনন্দ করা। আর দিনশেষে টানা ঘুম। কোনও চিন্তা নেই, ভাবনা নেই, স্রেফ ঘুম আছে। ব্যবস্থা করবে যেখানে ঘুরতে যাওয়া হচ্ছে সেই রিসর্ট বা হোটেল। মনে করা হচ্ছে, চলতি বছরে ভ্রমণপ্রেমীদের অন্যতম পছন্দ হয়ে উঠবে এই স্লিপ ট্যুরিজম। সমীক্ষা বলছে, ভারতের প্রায় ৯৩% মানুষ পর্যাপ্ত ঘুম থেকে বঞ্চিত। তাই এদেশেও স্লিপ ট্যুরিজম বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। এই ট্যুরিজমে মানুষের ঘুমের যত্ন নেওয়া হবে। যাতে ঘুমের কোনও ঘাটতি না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখবে হোটেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই বহু জায়গায় স্লিপ ট্যুরিজমের সুবিধা চালু হয়েছে। ভ্রমণকারীদের সমস্ত পছন্দ ও অপছন্দের কথা মাথায় রেখেই, রিসোর্টগুলিতে এই ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাতে জনপ্রিয়তাও মিলছে। আপাতভাবে শুনে মনে হবে, স্রেফ ঘুমানোর জন্য ঘুরতে যাওয়া? কেউ কেউ বলবেন, টাকা নষ্ট! কিন্তু না বাস্তবে এই ঘুমই হয়ে উঠেছে মহার্ঘ্য। ফলত ঘুমের স্বার্থে যে কোনও মূল্য চোকাতে রাজি অনেকেই।