চাকরি হারালে আমরা অনেকেই ভেঙে পড়ি। আবার একটা চাকরির সন্ধানে শশব্যস্ত হয়ে উঠি। কিন্তু এই কি একমাত্র উপায়? আচ্ছা, পরাগ আগরওয়ালকে আপনাদের মনে আছে? টুইটার থেকে যিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন, চাকরি হারানোর পর এখন কী করছেন তিনি? আসুন শুনেই নেওয়া যাক।
পরাগ আগরওয়াল। দিনকয়েক আগেই তিনি ছিলেন খবরের শিরোনামে। ইলন মাস্কের হাতে তখন চলে গিয়েছে টুইটারের মালিকানা। নিত্যনতুন আসছে বদল। নাম থেকে লোগো সবই পালটাচ্ছে। পালটে গিয়েছিল পরাগ আগরওয়ালের ভাগ্যও। মাইক্রোব্লগিং সাইটের সিইও পদ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। সেও বেশ কিছুদিন আগের কথা। তাহলে এখন কী করছেন তিনি?
আরও শুনুন: কারাগারে জন্ম কিশোরীর, বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ দিল সেই অভিজ্ঞতাই
না, পরাগ আগরওয়াল বসে থাকেননি। অন্য একটা চাকরির জন্য হন্যে হয়ে এখানে ওখানে হত্যেও দেননি। কী করেছেন? বলা যায়, স্বপ্ন দেখেছেন আর সেই স্বপ্নকে সাকার করে তুলতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন। এতবড় একটি সংস্থার এতবড় পদ থেকে সরে যাওয়ার পর, আবার ঘুরে দাঁড়ানো তো মুখের কথা নয়। কিন্তু সে প্রয়াসে অনেকটাই সফল হয়েছেন পরাগ। ঠিক করেছেন, এবার আর চাকরি নয়। নিজের সংস্থা চালু করবেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর হাতে চলে যাচ্ছে আগামী বিশ্ব। মানুষের দৈনন্দিন কাজ থেকে সৃষ্টিশীলতার ক্ষেত্রেও পড়বে সেই প্রভাব। এই নয়া প্রযুক্তি বা বিষয়কে সঙ্গে নিয়েই এগোতে চাইছেন পরাগ। শুরু করবেন তাঁর স্টার্ট আপ। তবে, সবার আগ জরুরি অর্থ। আর জানলে অবাক হতে হয় যে, এই কয়েক মাসেই পরাগ প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলারের ফান্ডিং পেয়ে গিয়েছেন। অতএব কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে LLM মডেলের সফটওয়ার তৈরি করবে পরাগের সংস্থা, যার চাবিকাঠি থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাতেই।
রাজস্থানের আজমের থেকে টুইটারের সিইও। বম্বে আইআইটির ছাত্রের জার্নিটা অনুপ্রেরণা দিত অনেককেই। তবে, টুইটার থেকে যখন তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন, তখন অনেকেই বড় চাকরির পরিণতি দেখে ভীত হয়েছিলেন। পরাগ কিন্তু কাউকে হতাশ করেননি। বরং ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুন স্বপ্ন দেখাতেই শিখছেন। একটা শেষ থেকেই আর একটা নতুন শুরুর বীজ খুঁজে পাওয়া যায়, শিখিয়ে দিচ্ছেন পরাগ আগরওয়াল। সিনেমার স্ট্রাগলের গল্পের থেকে তার গুরুত্বই বা কম কীসে!