ইউপিএসসি দিয়েছে AI। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। সম্প্রতি এমনটাই সম্ভব করেছেন IIT-র পড়ুয়ারা। কিন্তু সেই পরীক্ষায় আদৌ পাস করতে পেরেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
জুতোসেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ, AI সব পারে। পড়াশোনা আর এমন কি ব্যাপার! নিমেষে জটিল অঙ্ক সমাধান করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ইতিহাসের সাল, তারিখও এক্কেবারে মুখস্ত বলে দিতে পারে। কিন্তু UPSC-এর মতো পরীক্ষা পাস করা কি AI-র পক্ষে সম্ভব?
আরও শুনুন: উচ্চশিক্ষা যেন আর লক্ষ্য নয়, হয়ে উঠছে এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়
সেই উত্তর খুঁজতেই গবেষণা চালিয়েছিলেন IIT-র পড়ুয়ারা। এমনিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে বিশেষ কিছু অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেকটার কাজ আলাদা। কোথাও চোখের নিমেষে তৈরি হচ্ছে ছবি, কোথাও আবার পছন্দের সুর বুনে দিচ্ছে AI। সবমিলিয়ে মানুষের কাজে সুবিধা করতে এক পা উঁচিয়ে তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যদিও অনেকেই বলছেন, সুবিধার বদলে অসুবিধাই হচ্ছে বেশি। আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভরসায় অনেক সংস্থাই কর্মী ছাটাই শুরু করেছে। এতে আখেরে সংস্থার লাভ হলেও, রাতারাতি কাজ হারাচ্ছেন বহু। সেই নিয়ে বিতর্কও হচ্ছে। এই আবহে সামনে এল AI-র বিদ্যের দৌড় কতটা সেই হিসেব। এমনিতে পড়াশোনার কাজে AI ব্যবহার হয়েই থাকে। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেই পরীক্ষায় বসানো হয়নি। এবার IIT পড়ুয়ারা সেই কাজই করে দেখিয়েছেন। তাও আবার UPSC-র মতো পরীক্ষায়।
আরও শুনুন: বিনামূল্যে সাদা টি-শার্ট উপহার দেবেন রাহুল গান্ধী! কোন শর্তে মিলবে জানেন?
এমনিতে এই পরীক্ষা বেজায় কঠিন। তিনটি ধাপ পেরিয়ে মিলবে সাফল্য। প্রথমে প্রিলিন্মস, তারপর মেইনস শেষে ইন্টারভিউ। প্রথম ধাপ পেরোতেই কাল ঘাম চুটে যায়। একেবারে পাস করতে পারেন না অনেকেই। তাতে ভালো ফল করা অনেকেরই কল্পনার বাইরে। কোনওক্রমে পরের ধাপে উর্ত্তীর্ণ হতে পারাটাই চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই বাজিমাত করেছে AI। জানা গিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা UPSC-র মতো পরীক্ষার প্রিলিমসে একেবারেই পাস করেছে। মাত্র ৭ মিনিটে শেষ করেছে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর। নম্বর পেয়েছে ২০০-র মধ্যে ১৭০। যা বিগত ১০ বছরে কেউ পায়নি। এই কাণ্ড দেখে স্বাভাবিক ভাবেই সকলের চক্ষু চড়কগাছ। এমনকি যারা UPSC-র প্রশ্ন তৈরি করেন সেই শিক্ষকরাও রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়েছেন। কোনও মানুষের পক্ষে এত কিছু জানা প্রায় অসম্ভব। সেখানে যন্ত্র বেশি জানলেও এত কম সময়ে সবটা শেষ করা মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। তবে AI দিয়ে এই পরীক্ষা দেওয়ানোর কোনও অসৎ উদ্দেশ্য নেই। অর্থাৎ কেউ পরীক্ষায় নকল করতে এইভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিক, এমনটা একেবারেই চাননি পড়ুয়ারা। আসলে, AI-র সাহায্যে একটি পরীক্ষা প্রস্তুতির অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে UPSC-র মতো পরীক্ষার প্রস্তুতিও নেওয়া যাবে। তাই যার কাছে প্রস্তুতি নিতে আসবেন ভবিষ্যতের সরকারি চাকরিপ্রার্থীরা, সেই AI কতটা যোগ্য তা পরখ করে নিতে এমনটা করা হয়। আর সেখানে তাক লাগানো ফল করে সবাইকে, চমকে দিয়েছে AI।