অত্যধিক বেড়ে গিয়েছে ওজন। এদিকে ঝরানোর কোনও ইচ্ছা নেই। প্রয়োজনও মনে হচ্ছে না সেইভাবে। কিন্তু এমনটা করলে যদি বাড়তে রোজগারের সুযোগ আসে! তাহলে নিশ্চয়ই ওজন ঝড়াতে আপত্তি থাকবে না! সম্প্রতি এমনই সুযোগের কথা ঘোষণা করেছে এক সংস্থা। ব্যাপারটা ঠিক কী? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
এক জায়গায় বসে থেকে কাজ। শরীর চর্চার নামগন্ধ নেই। তাই ওজনও বাড়ছে দেদার। অসুবিধা হচ্ছে না বললে ভুল হবে, তবু ওজন কমানোর ইচ্ছা নেই। চলে তো যাচ্ছে, তাতেই হবে। বাড়তি ওজন নিয়ে আশেপাশের লোকজনের খোঁচাও গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। কাজেই ওজন বাড়ছে বাড়ুক, পরোয়া না করেই দিব্য রয়েছেন অনেকে। এই ধরনের কর্মীদের শরীরচর্চায় মতি ফেরাতেই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে চিনা সংস্থা।
আরও শুনুন: মদের নেশা হাজার চেষ্টাতেও ছাড়ছে না? এই মন্দিরে মাথা ঠেকালেই কাজ হবে
ওজন নিয়ে সতর্ক থাকার কথা চিকিৎসকরাই বলেন। বাড়তি মেদ নানা রোগের কারণ হতে পারে। একটু দৌড়ে কিছু করতে গেলেই হাঁপিয়ে মরতে হয়! ওজন কমানোও যে বেশ কঠিন কিছু তা নয়। রোজ কিছুক্ষণের জন্য শরীরচর্চা করলেই কাজ হবে। তার সঙ্গে খাওয়া দাওয়ার উপরও লাগাম টানতে হবে। বাইরের তেল মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। অতিরিক্ত মিষ্টি খেলেও বাড়তে পারে ওজন। এইসব কথা মাথায় রেখেই চিনা সংস্থা কর্মীদের জন্য নতুন এক প্রকল্প হাজির করে। কিছুই না, এই প্রকল্পের আওতায় সংস্থার কর্মীরা ওজন কমিয়ে বাড়তি টাকা রোজগার করতে পারেন। সবাই অবশ্য চাইলেই এতে অংশ নিতে পারবেন না। চিকিৎসকরা যেসব কর্মীকে স্থূলতার আওতায় রাখবেন, তাঁরাই অংশ নিতে পারবেন এই ওজন ঝরানোর ক্যাম্পে। টানা তিনিমাস ধরে চলবে ক্যাম্প। তাতে যে যত ওজন কমাবে তত টাকা। অবশ্য প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ওজন কমালে চলবে না। ওজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যতটুকু ওজন বাড়তি, সেটুকুই ঝরিয়ে ফেলতে হবে। প্রতি সপ্তাহে ওজন মাপা হবে ক্যাম্পে থাকা কর্মীদের। ৫০০ গ্রাম ওজন করলেই মিলবে টাকা। হিসাবটা ওইভাবেই, অর্থাৎ প্রতি ৫০০ গ্রাম ওজন কমলে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পাবেন কর্মীরা। অবশ্য এর সঙ্গে এক বিশেষ শর্তও রয়েছে। ক্যাম্পে থাকাকালীন কেউ যদি ওজন বাড়িয়ে ফেলেন, তাহলেও বিপদ! পুরস্কারের বদলে দিতে হবে ফাইন। টাকার অঙ্কটাও নেহাতই কম নয়।
আরও শুনুন: কলিযুগের শূর্পণখা, নিজেকে রাবণের বোন হিসেবে প্রচার করেই পুজো পান যে মহিলা
তবে কর্মীদের কেউই তেমনটা করেন না। সকলেই নিষ্ঠাভরে এই ক্যাম্পে অংশ নেন। আসলে বাড়তি রোজগার কে না চায়! তা যদি শরীরের উপকার হচ্ছে, এমন কোনও খাতে হয় তাহলে কথাই নেই! বিগত কয়েক বছর ধরেই এই ক্যাম্প চালিয়ে আসছে চীনা সংস্থা। এইভাবে সংস্থার বহু কর্মী, নিজেদের ওজন ঝরিয়েছেন। শোনা যায়, কোনও এক কর্মী তিন মাসে প্রায় ১৮ কেজি ওজন ঝরিয়েছিলেন। পুরস্কার হিসেবে মোটা টাকা রোজগারও করেছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে নিজের চেহারা দেখে নিজেই চমকে যান ওই ব্যক্তি। আসলে, শরীরচর্চা স্রেফ রোগা হওয়ার জন্য নয়। মন ভালো রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কাজেই টাকা রোজগারের লোভেও কেউ যদি সেই কাজ করে তাহলে আখেরে তাঁরই লাভ। এক কথায় বলতে গেলে, এইভাবে রথ দেখা আর কলা বেচা, দুইই সম্ভব।