রোদ হোক বা বৃষ্টি, ছাতা তো চাই-ই। তবে সেই ছাতা যদি কষ্ট করে হাতে ধরে না থাকতে হয়। মানে এমন কোনও শহরে গেলেন, যেখানে রাস্তাই আপনার মাথায় ধরবে ছাতা। এমন আশ্চর্য রাস্তা কোথায় আছে ভাবছেন তো? আসুন, সেই হদিশই দিই আপনাদের।
যতই আকাশ ঝেঁপে বৃষ্টি আসুক না কেন, এ রাস্তায় আড়াল খোঁজার দরকার নেই একেবারেই। বরং রাস্তাই আপনার মাথায় মেলে রাখবে বাহারি রংয়ের ছাতা। তাই বলে আকাশ দেখতে পাবেন না এমনটাও নয়। বাহারি ছাতার ফাঁক দিয়ে আকাশ দেখার মজাটাও কিন্তু বেশ। ভাবছেন তো, কোথায় রয়েছে এমন আশ্চর্য ছাতা ঢাকা সরণি? পর্তুগালের অ্যাগুয়েডা মিউনিসিপ্যালিটির আওতায় থাকা এই রাস্তা যেন মন ভাল করে দিতে পারে যখনতখন। মাথার উপরে তাকালেই দেখবেন রঙের মেলা। না, রামধনু নয়। বাহারি ছাতার শামিয়ানাই আপনার চোখের সামনে মেলে ধরবে এই রং।
আরও শুনুন: ছুঁয়েও দেখতেন না পুরুষেরা, এককালে ছাতা ব্যবহার করতেন শুধু মেয়েরাই
রাস্তার এই বাহারি ছাতার সাজে সেজে ওঠার পিছনে ছিলেন রাফায়েল লেগিডোস নামে এক স্থপতির। শহরটিকে বিখ্যাত করে তুলতেই এমন অভিনব ভাবনা ভেবেছিলেন তিনি। ২০১২ সালে প্রথম প্রথম বার রাস্তা জুড়ে টাঙানো হয়েছিল এই ছাতা। সেসময় সেক্সটাফেইরা নামে একটি সংস্থা এই আমব্রেলা স্কাই প্রকল্পের দায়িত্ব নেন। তাঁরাই গোটা রাস্তাটিকে সাজিয়ে তুলেছিলেন রংবেরংয়ের ছাতায়। পর্তুগালের এই রঙিন শহরের ছবি ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকেরা আসতেন এই রাস্তার টানে।
আরও শুনুন: সঙ্গে নেই ছাতা, তবু ভরা বর্ষায় মাথা বাঁচানোর উপায় কী?
পরে এক দল শিল্পী ফের নতুন করে রাস্তাটিকে সাজানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। পুরনো ছাতা সরিয়ে ফের নতুন ছাতায় সেজে ওঠে রাস্তা। একরঙা ছাতার পাশাপাশি বাহারি প্রিন্টের ছাতাও ব্যবহার করেন তাঁরা। রোদেলা দিন ছাতা ঢাকা রাস্তায় যখন আলো-ছায়া মাখা নকশা তৈরি করে, তখন তাকে মায়াবী বললেও কম বলা হয়।
শুধু পর্তুগালেই নয়, এমনই একটি বাহারি ছাতা টাঙানো রাস্তার হদিশ মেলে তুরস্কেও। সেখানকার রাজধানী ইস্তানবুলের হোকা তেহসিন স্ট্রিটও নাকি সাজানো এমন বাহারি ছাতায়। সেই রাস্তা নাকি বিখ্যাত সব কফি শপের জন্যও বিখ্যাত। পাশাপাশি দারুণ সুস্বাদু সব খাবারদাবারও মেলে সেই রাস্তায়। সব মিলিয়ে আপনার যদি বাহারি ছাতার শখ থেকে থাকে, তবে ঘুরে আসতেই পারেন এই দুটি দেশের কোনও একটি থেকে। প্রিয় বন্ধুকে পাশে নিয়ে ছাতায় ছায়ায় নিশ্চিন্তে হেঁটে আসতেই পারেন কয়েকটা ঘণ্টা।