ফুল ভালবাসেন না, এমন মানুষ বিরল। ফুলের খোঁজে দূরদূরান্তে বেড়াতেও যান ভ্রমণবিলাসী মানুষজন। জানেন কি, পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ফুলগাছ কোনটি? কোথায় গেলে তার দেখা পাওয়া যাবে?
কবি বিনয় মজুমদার লিখেছিলেন, ‘সকল ফুলের কাছে এত মোহময় মনে যাবার পরেও/ মানুষেরা কিন্তু মাংস রন্ধনকালীন ঘ্রাণ সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে’। কিন্তু যে ফুলের নিজের গন্ধই মাংসের মতো, তাকে কী বলা যায়?
আরও শুনুন: নরওয়েতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বীজের ব্যাংক, যা রসদের ভরসা দেয় গোটা দুনিয়াকে
চমকে গেলেন তো? সত্যিই, তীব্র গন্ধ এই ফুলের, কিন্তু কোনোভাবেই তাকে সুগন্ধ বলা চলে না। এই ফুলের দেখা যদি নাও পান, তার স্থানীয় নাম শুনলেই সে কথা বুঝতে বাকি থাকবে না আপনার। পোশাকি নাম টাইটান আরুম। আর স্থানীয় নাম ‘বুঙ্গা বাংকাই’। স্থানীয় ভাষায় ‘বুঙ্গা’ শব্দের অর্থ ফুল আর ‘বাংকাই’ শব্দের অর্থ শবদেহ। এই বিশেষ ফুলটির নিজস্ব গন্ধ মানুষের নাকে পচা মাংসের মতো ঠেকে। শুধু গন্ধই নয়, সব দিক থেকেই এই ফুল বেশ অদ্ভুত ধরনের। যেমন তার আকার, তেমনই রং। যে কোনও সাধারণ ফুল মোটামুটি কত বড় হয়? তিন, চার, পাঁচ ইঞ্চি? সেখানে টাইটান আরুম ফুল লম্বায় হয় ৮ ফুট থেকে ১০ ফুট। আর ওজন শুনবেন? ৫০ থেকে ৯০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে একেকটি ফুলের ওজন। নিজেরা পছন্দমতো রং বাছে এরা। পুরুষ ফুলের পছন্দ হালকা ক্রিম রং। কিন্তু স্ত্রী ফুল বেছে নেয় গোলাপি, কমলা অথবা বেগুনির মতো উজ্জ্বল রং। তবে এই ফুল দেখতে পাওয়া মুশকিল। একটি গাছ বাঁচে প্রায় ৪৫ বছর, কিন্তু তাতে ফুল আসে মাত্র চার-পাঁচবার। গাছটি পরিণত হওয়ার মোটামুটি পাঁচ বছরের মাথায় প্রথম ফুল আসে। কুঁড়ি ধরার পর ফুটতে সময় লাগে কয়েক মাস। আর ফুটে ওঠার এক-দুদিনের মধ্যেই ফুলটি ঝরে যায়।
আরও শুনুন: লম্বা হচ্ছে গোটা দুনিয়া, ভারতীয়দের উচ্চতা কেন কমছে?
আরও একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এই ফুলগাছটির। যদিও পৃথিবীর প্রাচীনতম ফুলের গাছ কোনটি সে বিষয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা পুরোপুরি নিশ্চিত নন, তবে এই গাছটিকেই পৃথিবীর আদিমতম ফুলগাছ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন অনেকে।
বাকি অংশ শুনে নিন।