পথে পথেই জীবন কাটে ওদের। কোনও সুন্দর পরিবারও ওদের কাউকে ঘিরে নেই। এই পথশিশুদের কথা কজনই বা চিন্তা করেন! তবে ওঁরা কিন্তু ভেবেছেন। আসুন, শুনে নেওয়া যাক এই দুই মানুষের কথা, পথশিশুদের ধুলোমাখা পৃথিবীটাকে যাঁরা একটু সুন্দর করে তোলার দায়িত্ব নিয়েছেন নিজেরাই।
পথটাই আস্তানা ওই শিশুদের। ঘর নেই, নেই কোনও সুন্দর পরিবারও। ফলে সেই আশ্রয়ে যে ওম মিশে থাকে, যে আনন্দের জোগান আর প্রয়োজনীয় পরিচর্যা থাকে, তার সবটাই ওদের একেবারে অচেনা। হ্যাঁ, পথশিশুদের দিন কাটে এমন যেমন-তেমন ভাবেই। আশপাশ দিয়ে অনেক মানুষই চলে যান সারাদিনে, কিন্তু ওদের দিকে তাকান আর কজন! বা তাকালেও, সেই জীবনটা একটুখানি পালটে দেওয়া যায় কি না, এমন কথা ভাবার মানুষ হাতেগোনা। কিন্তু সেই পথচলতি মানুষের ভিড়ের মধ্যে থেকেই এবার নজর কেড়েছেন দুজন মানুষ। না, কোনও যৌথ উদ্যোগ নয়। নিজেদের সামর্থ্যে, নিজেদের মতো করেই ওই শিশুদের খানিক ভালো থাকার স্বাদ উপহার দিতে চেয়েছেন ওই দুই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: অলৌকিক নয় লৌকিক, হৃৎপিণ্ড ছাড়াই ১ মাস বেঁচে ব্যক্তি, কীভাবে?
কী ঘটেছে ঠিক?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাগ করে নেন গৌতম ত্রিবেদী নামে এক ব্যক্তি। সেখানেই দেখা গিয়েছে একজনকে, যিনি একটি টিভি-র দোকানের কর্মী। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দোকানে সার সার দিয়ে রয়েছে টিভি। আর কাচের দেওয়ালের এপারে বসে রয়েছে ছেঁড়াখোঁড়া জামা পরা দুই পথশিশু। তারা টিভিতে কী দেখতে চায়, জিজ্ঞেস করলে টকিং টম কার্টুনটি দেখতে চায় দুজনে। আর সেইমতোই টিভিতে সেই কার্টুনের অনুষ্ঠান চালিয়ে দেন ওই কর্মী। পোস্টকর্তা জানিয়েছেন, কোনও একদিন না, প্রতি সন্ধ্যাবেলা নিয়ম করেই এই কাজ করেন ওই ব্যক্তি। পথশিশুদের পছন্দমতো চ্যানেল চালিয়ে দেন টিভিতে। যাতে বাস্তবের সব দুর্দশা ভুলে কিছুক্ষণের জন্য হলেও খুশি থাকতে পারে ওরা।
আরও শুনুন: ‘আমার ক্যানসারের কথা মা-বাবাকে বলবেন না’, চিকিৎসককে অনুরোধ ৬ বছরের খুদের
এদিকে আরও একটি ভিডিও সম্প্রতি দেখা গিয়েছে সামাজিক মাধ্যমের পাতায়। তাতে দেখা গিয়েছে, পথ দিয়ে যাওয়ার সময় দুটি পথশিশুকে বিস্কুট এবং আরও কিছু টুকিটাকি খাবার দিচ্ছেন কেরলের এক বাসচালক। তাঁর এই কাজে হাসি ছড়িয়ে পড়েছে ওই শিশু দুটির মুখেও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে দুটি ভিডিও-ই। যা দেখে আবেগে ভেসেছেন নেটিজেনরা। ভিডিও দুটির সময়সীমা কম হলেও, তাদের মধ্যে দিয়ে যে বার্তা ফুটে উঠেছে, তার গুরুত্ব যে কম নয়, একবাক্যেই সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সকলে।