কেউ লেডি গাগা, কেউ বিয়ন্সে। তবে আসল নয়, নকল। না না, ফেক প্রোফাইল ভাববেন না যেন। এক অর্থে এরাও আসলই বটে, তবে মানুষ নয় কেউ। আরও চমকে গেলেন তো? তবে শুনে নিন।
আহা, মানুষ নয় বলে কি তার নামও থাকবে না? থুড়ি, তাদের। নাহ, সব মানুষ অত অবিবেচক নয়। আর সেইজন্যই, নামকরণের সূত্র ধরে তারা এক-একজন সেলেব্রিটি। কেউ লেডি গাগা, কেউ বিয়ন্সে, কেউ বারাক ওবামা কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্প, আর কেউ কেউ একেবারে মার্ভেল সিরিজ বা স্টার ওয়ার্স-এর চরিত্র।
আরও শুনুন: মানুষ নয়, পৃথিবীর প্রথম গোয়েন্দা একটি কুকুর… খোঁজ মেলে তার ঋগ্বেদে
নাহ, কৌতূহলটা মিটিয়েই দেওয়া যাক এবার। এরা সবাই না-মানুষ গোত্রের প্রাণী। সক্কলে আদতে বিভিন্ন রকমের কীটপতঙ্গ। বলতে পারেন বিভিন্ন তারকাদের নাম দখল করেছে তারা, আবার এও বলতে পারেন যে নিজেদের নামে এক-একটি আস্ত প্রাণী প্রজাতি রয়েছে এই তারকাদের। অর্থাৎ উভয় পক্ষের কাছেই বিষয়টা কিন্তু বেশ সম্মানজনক। তা, এমন মহার্ঘ ধনের মালিক কোন তারকারা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক সে কথা।
এক ঘাসফড়িং-এর দল দখল করেছে লেডি গাগার নাম। না, গুনগুন করে একে অপরের সঙ্গে বাক্যালাপ করলেও, লেডি গাগার মতো সংগীতপ্রতিভা তাদের আছে কি না সে কথা অবশ্য জানা যায়নি। তবে যা আছে তা হল চমকে দেওয়া স্টাইল। মাথায় শিং, অদ্ভুত রঙের গাত্রবর্ণ, সব মিলিয়ে লেডি গাগার মতোই অভিনব ফ্যাশন স্টেটমেন্টের দাবিদার তারা, এমনটাই দাবি সবার। প্রায় একইরকম কারণে বিয়ন্সের নামের দাবিদার হর্স ফ্লাইয়ের একটি দুষ্প্রাপ্য প্রজাতি। বিয়ন্সের একটি বিখ্যাত পোশাকের মতো, তাদের শরীরে রয়েছে উজ্জ্বল একগুচ্ছ সোনালি রোম।
কেবল বিনোদন জগতের তারকারা নন, রাজনীতিকদের নামেও নামকরণ করা হয়েছে একাধিক না-মানুষ গোষ্ঠীর প্রাণীর। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশান্ত মহাসাগর সংরক্ষণ প্রকল্পকে মর্যাদা দিয়ে উজ্জ্বল লাল-হলুদ রঙের একটি মাছের নাম দেওয়া হয়েছে টোসানোইডেস ওবামা। বাদ যাননি সদ্যপ্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও। তাঁর ব্লন্ড চুলের সঙ্গে সাদৃশ্যের কারণে এখন তাঁর নামের অধিকারী সোনালি আঁশওলা একটি মথ প্রজাতি।
আরও শুনুন: বরফের চাদরের ১০০০ ফুট নিচে বসতি ৬ কোটি মাছের… হদিশ পেয়ে তাজ্জব বিজ্ঞানীরা
সম্প্রতি এই তালিকায় সংযোজিত হয়েছে একটি নতুন নাম। গ্রেটা থুনবার্গ। পরিবেশ আন্দোলনের জেরে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দেওয়া এই কিশোরীর নামটি অর্জন করেছেন নব আবিষ্কৃত এক ব্যাং, তথা ব্যাং মশাইয়ের প্রজাতি। পানামাতে এই নতুন প্রজাতিটির হদিশ মিলেছে। ২০১৮ সালে রেনফরেস্ট ট্রাস্ট তাদের ৩০তম বার্ষিকী উদযাপনের সময় নিলাম ডেকেছিল, যেখানে বিক্রি হয়েছিল একঝাঁক নতুন আবিষ্কৃত প্রজাতির নামকরণের মালিকানা। আর সেই সূত্রেই এই ব্যাং প্রজাতির নামকরণের মালিকানা হস্তগত করেন এক বিজয়ী। তবে নিজের নামে নয়, বরং গ্রেটা থুনবার্গের নামে এই প্রজাতির নামকরণ করে তাঁর কাজকে সম্মান জানিয়েছেন তিনি।