জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়া কি সহজ কথা! কাকে যে সারাজীবনের মতো বিশ্বাস করা যায়, সে কথা বোঝা মুশকিল। তাই বিশ্বাসের পরীক্ষা নিতেই অভিনব উপায় বের করেছিলেন এই তরুণী। অন্তঃসত্ত্বা সেজে যোগ দিয়েছিলেন স্বয়ংবর সভায়। কী হল তারপর? শুনে নেওয়া যাক।
কোনও পরমা সুন্দরী কন্যা, তার যোগ্য বর মিলবে কোথায়? সেই সমস্যার সমাধান করতেই আয়োজন করা হত স্বয়ংবর সভার। কিন্তু সে তো প্রাচীন কালের কথা। এ যুগে এমন কাণ্ড আবার কে করবেন? কিন্তু সেই ঘটনাই ঘটিয়ে বসেছেন এই তরুণী। তাও আবার এখানেই গল্প শেষ নয়। এমনিতে স্বয়ংবর সভা হত কুমারী কন্যার জন্যই। কিন্তু এই তরুণী নাকি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তারপরেও তিনি হাজির হয়েছেন স্বয়ংবর সভায়। আর তা দেখেই অবাক সকলে।
আরও শুনুন: শীতের ঠেলায় গরম জলেই স্নান, যৌনতায় মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনের বাসিন্দা ওই তরুণীর বয়স বছর ৩২। তিনি স্বয়ংবরে গিয়ে জানিয়েছিলেন, তিনি এমন কোনও সঙ্গী চান যিনি বিনা শর্তে তাঁর এবং তাঁর সন্তানের দায়িত্ব নেবেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনও অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছেন না কেউই। শেষে এক ব্যক্তি যদি বা রাজি হন, দেখা যায় তিনিও আসলে এক সন্তানের পিতা। সেই সন্তানের বয়সও আবার বছর চল্লিশ। সুতরাং তাঁর বয়স যে যথেষ্ট বেশি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পত্রপাঠ সে প্রস্তাব বাতিল করে দেন তরুণী। আর তারপরই তিনি ফাঁস করেন রহস্যের পর্দা। জানান, আসলে লোকজনকে পরখ করার জন্যেই এমন ভান করেছিলেন তিনি।
আরও শুনুন: উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য লুকিয়ে উদ্দাম যৌনতায়… কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
হ্যাঁ, আসলে জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বিশ্বাস করা যায়, তা পরখ করার জন্যেই এমনটা করেছিলেন ওই তরুণী। চেন শিয়াওসি নামের ওই তরুণী পেশায় সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার। গোটা ঘটনার পিছনে নেহাত ব্যবসায়িক স্বার্থই ছিল তাঁর। বিয়ে বা সম্পর্ক নিয়ে গড়পড়তা লোকের কী ধারণা, তা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে সবটাই অনুরাগীদের জন্য। আর সে উদ্দেশ্য মোটামুটি সফল হয়েছে বলেই জানিয়েছেন এই তরুণী।