দাড়ি থাকলে প্রেম নয়। এই শর্তে মিছিল করলেন ইন্দোরের তরুণীরা। দাবি একটাই, পুরুষরা দাড়ি রাখা বন্ধ করুন। নাহলে তাঁদের সঙ্গে কেউ প্রেম করবে না। ঘটনার ভিডিও দেখে শোরগোল পড়েছে নেটমহলেও। কী বলছেন নেটিজেনরা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
পুরুষের সৌন্দর্য বাড়ায় গোঁফ-দাড়ি! এ ধারণা অনেকের। সিনেমা গল্পে সে প্রণাম মিলেছে। বীরপুরুষের চেহারায় অবশ্যই পুরুষ্ট গোঁফ রেখেছেন গল্পকার। বলশালী পালোয়ান বোঝাতেও ব্যবহার হয়েছে গোঁফ-দাড়ির অলংকার। অথচ সেই দাড়ি থাকলেই প্রেম জুটবে না পুরুষের কপালে, এমনই দাবি ইন্দোরের একদল তরুণীর।
আরও শুনুন:
‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’, তবে ‘স্ট্রং’ নন ‘উইক’! কমেডি ছোঁয়ায় নিজের কথা বলে ঝড় তরুণীর
রোজ কত কি ঘটে যাহা তাহা…নেটদুনিয়ার হালহকিকত বোঝাতে এমনটা বলাই যায়। কীভাবে কী ভাইরাল হয়ে যাবে সে হিসাব থাকে না কারও কাছে। অনেক সময় পুরনো ঘটনাও নতুন করে চর্চায় ফেরে। সেই নিয়ে মাতামাতি হয় বিস্তর। তবে এই ঘটনা একেবারে টাটকা। সম্প্রতি ইন্দোরে একদল তরুণী বিশেষ দাবিতে মিছিল বার করে। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শহরের বুকে ঘুরে বেড়ান তাঁরা। জোর গলায় স্লোগানিং-ও করেন। শহরের বুকে এই ধরনের মিছিলের ছবি এমন অস্বাভিক কিছু নয়। নিত্যনতুন দাবিতে রাজনৈতিক দলগুলি মিছিলের ডাক দিয়েই থাকেন। তা পা মেলান বহু সাধারণ মানুষ। তবে ইন্দোরের তরুণীরা যে মিছিল করেছেন তাতে সকলের শামিল হওয়ার জো নেই। বরং তাঁদের কাণ্ড দেখে বেজায় অবাক হয়েছেন আমজনতা। ভিডিওতেই ধরা পড়েছে সেই ছবি। কেউ কেউ মুখ টিপে হাসছেন, কেউ আবার মোবাইল বের করে ভিডিও করছেন। সেদিকে পাত্তা না দিয়েই মিছিল করে এগিয়ে চলেছে ওই তরুণীর দল। হাতে প্ল্যাকার্ডের মতোই তাঁদের অনেকের মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। দেখে মনে হবে তাঁদের গালে দাড়ি গজিয়েছে। আসলে এই আন্দোলনটাই দাড়ির বিরুদ্ধে। তাই ওমন প্রতীকী দাড়ি গালে লাগিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও শুনুন:
গোটা রেলগাড়ি জুড়ে চলেছেন মারণরোগীরা, পাঞ্জাবের ‘ক্যানসার ট্রেন’ দেশে অশনিসংকেত
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। শহরের কোনও পুরুষ যেন দাড়ি না রাখে, এই দাবিতে পথে নেমেছিলেন ইন্দোরের ওই তরুণীরা। ক্লিন শ্যেভ না করলে প্রেমিকা জুটবে না, এই হুঁশিয়ারিই শোনা যাচ্ছিল স্লোগানে। প্ল্যাকার্ডের লেখাগুলিও খানিকটা একই বিষয়কে কেন্দ্র করে। তবে ঠিক কেন হঠাৎ এমন মিছিল করলেন ওই তরুণীরা তা জানা যায়নি। নেটিজেনদের মতে, এ হয়তো বিজ্ঞাপনী কৌশল। নতুন কোনও সিনেমা বা সিরিজের প্রচার করতে এমনটা করেছেন ওই তরুণীরা। তাঁরা প্রত্যকেই নিজেদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, মনে করছেন নেটদুনিয়ার একাংশ। স্রেফ বিষয়টাকে এমনভাবে সকলের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে, বোঝা যাচ্ছে না আসল বিষয়টা কী! তবে মিছিলের উদ্দেশ্য যাই হোক , এই নিয়ে নেট শোরগোল কম হয়নি। অনেকেই মহিলাদের দাবির পালটা দিয়েছেন। এইভাবে পুরুষকে দাড়ি সরানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া যায় না, এমনটা দাবি নেটদুনিয়ার একাংশের। যার যেমন পছন্দ সে সেই মতো প্রেম করুন, তা নিয়ে মিছল করার প্রয়োজন নেই, এমনটাও মনে করেছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার বিষয়টিকে নিশকই মজার ছলে দেখেছেন। সবমিলিয়ে ইন্দোরের মহিলাদের এই অভিনব দাবিতে করা মিছিলে মজে নেটদুনিয়া।