স্ত্রীকে লুকিয়ে বেশ্যালয়ে যাওয়ার অভ্যাস ছিল স্বামীর। জানতে পেরে একদিন স্বামীর পিছু নিলেন স্ত্রী। পৌঁছে গেলেন সেই ঠিকানায়। আর তারপর যা ঘটল তা রীতিমতো চমকপ্রদ। ঠিক কী ঘটেছিল? শুনে নিন।
ঠিক যেন গল্পের মতো। তবে গল্প নয়। বরং স্বামীর বদভ্যাসের বদলা নিতে গিয়ে থাইল্যান্ডে এক স্ত্রী যা করেছেন, তাতে চমকে উঠেছেন সকলেই।
আরও শুনুন: খোলামেলা ছবিতেই কোটি টাকা রোজগার! শরীরকে পুঁজি করেই গরিবদের সাহায্য করতে চান এই মডেল
ঘটনার সূত্রপাত, একটা ছোট্ট কার্ড হাতে পাওয়া থেকে। স্বামী যে গোপনে কোথাও যান, এ সন্দেহ বহুদিন ধরেই ছিল তাঁর স্ত্রীর। কিন্তু কোথায় যে যান, তা কিছুতেই ধরতে পারেননি মহিলা। একদিন স্বামীর পোশাকের পকেট থেকে পেয়ে যান ছোট্ট একটি কার্ড। তা দেখে আর বুঝতে কিছু বাকি থাকল না। তবু নিশিচত হওয়ার জন্য, ওই কার্ডে লেখা নম্বরে ফোন করেন তিনি। জানতে চান, সেখানে কী কাজকর্ম হয়। উত্তর আসে, এসে নিজেই বরং দেখে যান। যাবেন কি যাবেন তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন মহিলা। তারপর ভাবলেন, চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করে নেওয়াই ভালো। স্বামী যদি যৌনপল্লি থেকে কোনও যৌনরোগ ঘর বয়ে নিয়ে চলে আসে, তাহলে তো হিতে বিপরীত। অতএব একদিন তিনি পৌঁছে গেলেন ওই ঠিকানায়। সেখানে গিয়ে দেখা করেন ম্যানেজারের সঙ্গে। তবে চলতি অর্থে যৌনপল্লি যেরকম হয়, এই জায়গাটা ঠিক সেরকম ছিল না। যৌনগন্ধী কাজকর্ম হলেও, পুরোপুরি যৌনতার কাজ সেখানে হয় না, জানান ম্যানেজার। তাতে খানিক নিশ্চিত হন স্ত্রী।
আরও শুনুন: ‘সরকারি চাকুরে পাত্রী চাই’, বিয়ের জন্য পোস্টার হাতে রাস্তায় ধরনা ব্যক্তির
এরপরই ঘটে চমকদার ঘটনা। ম্যানেজার ওই মহিলাকেই সেখানে চাকরি অফার করেন। দোনামোনা করে চাকরি নিয়েও ফেলেন মহিলা। স্বামীর পিছু ধাওয়া করে যেখানে পৌঁছেছিলেন, সেটি তাঁরও পছন্দের গন্তব্য হয়ে ওঠে ক্রমশ। যে ধরনের কাজ এই চাকরিতে করতে হয়, তাতে মহিলা খুশি বলেই জানিয়েছেন শেষমেশ। থাইল্যান্ডের দম্পতির এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় সকলেই চমকে উঠেছেন। এই চাকরি নেওয়া কি মহিলার প্রতিশোধ! ঘটনার কথা জেনে প্রশ্ন অনেকেরই। তবে এর মধ্যে মহিলা পড়েছেন আর এক বিপদে। কোনদিন না তাঁর স্বামীর সঙ্গেই দেখা হয়ে যায়! চাকরির আনন্দের পাশাপাশি আপাতত এই ভয়েই দিন কাটছে তাঁর।