আচমকা ফুরিয়ে গিয়েছে নেট কানেকশন। অথবা এমন জায়গায় আছেন, যে কিছুতেই নেট পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে খুব জরুরি একটি মেল না-পাঠালেই নয়। এমন পরিস্থিতিতে হয়তো অনেকেই পড়েছেন। এতদিনে মুশকিল আসান! গুগলের নয়া ফিচারে অফলাইনেই পাঠানো যাবে ই-মেল। কীভাবে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ই-মেল পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত জনপ্রিয় ‘জিমেল’। বলা যায়, দুনিয়ার গরিষ্ঠসংখ্যক মানুষই ই-মেল করার জন্য জিমেল-কেই বেছে নেন। সেই পরিষেবাকে আরও ইউজার-ফ্রেন্ডলি করার জন্য প্রায় যুগান্তকারী ফিচার আনল গুগল, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘Gmail offline’। ইন্টারনেট কানেকশন না-থাকলেও, এবার তাই মেল খোঁজা, উত্তর দেওয়ার মতো জরুরি কাজকর্ম করা যাবে। তবে তার জন্য কয়েকটি কাজ আপনাকে এখুনি করে ফেলতে হবে। কী সেগুলো? আসুন এক এক করে শুনে নেওয়া যাক-
১) প্রথমেই মাথায় রাখুন, আপনার ডেস্কটপে যেন ক্রোম ব্রাউজারটি থাকে। তবেই আপনি এই ফিচারটির সুবিধা পাবেন, অন্যথায় নয়।
২) এবার আপনার মেল লগইন করে ঢুকে পড়ুন ইনবক্সে। খুঁজে নিন ‘সেটিংস অপশন’। এর চিহ্ন হল কগ্হুইল বাটন, যা দেখে সহজেই চিনতে পারবেন।
৩) এই বাটনে ক্লিক করলে ‘See All Settings’ অপশনটি দেখতে পাবেন, এখানে ক্লিক করুন।
৪) এরপরই আপনি দেখতে পাবেন Offline ট্যাব।
আরও শুনুন: ঘরের ছাদ, দেওয়াল নেই… তবু হোটেল ভাড়া ২৬ হাজার টাকা, কেন জানেন?
৫) অফলাইন ট্যাবটি ক্লিক করলে আপনার সামনে ভেসে উঠবে একটি চেকবক্স, যেখানে লেখা থাকবে – Enable offline mail, আপনি অবশ্যই এখানে আপনার সম্মতি অর্থাৎ সবুজ সংকেত দিয়ে রাখবেন।
৬) এইখানে আপনাকে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গুগল জানতে চাইবে, আপনি কতদিনের মেল সিঙ্ক করতে চাইছেন? বা জানাবে আপনার জিমেলে স্পেস কতটা আছে ইত্যাদি। এখানে ব্যক্তিবিশেষে বিবেচনা করে উত্তর দিয়ে ‘সেভ সেটিংস’ অপশন ক্লিক করলেই আপনি অফলাইন জিমেল পরিষেবা পেতে শুরু করবেন।
৭) তবে একটা জিনিস খেয়াল করবেন, ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে এই অপশন নিজে চালু করলেও, অফিস সংক্রান্ত মেল-এর ক্ষেত্রে অ্যাডমিন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে চালু করাই শ্রেয়।
8) অফলাইন অবস্থায় মেল ব্যবহার করার জন্য আপনি ক্রোমে বুকমার্ক করে রাখুন mail.google.com , আবার যদি কখনও মনে হয় যে, এই ফিচার দরকার নেই, তাহলে তা আনইন্সটল করেও দিতে পারেন।
অর্থাৎ উপরের এই সাধারণ কয়েকটি কাজ করলেই একটা বড় সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। ইন্টারনেট না-থাকলেও মেল পাঠানোর সুবিধা যে আজকের জীবনে কতটা প্রয়োজনীয়, তা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। গুগলের এই অভিনব ফিচারটি যে সেক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি একটি পদক্ষেপ, তা বলাই যায়।