ঠিক রাস্তার খোঁজ দেওয়াই গুগল ম্যাপের কাজ। কিন্তু এ শহরে গুগল ম্যাপ খোঁজ দেয় ট্র্যাফিক পুলিশের। যাতে ট্র্যাফিক আইন ভাঙার ব্যাপারে আগেভাগেই সাবধান হতে পারেন গাড়িচালকেরা। শুনে নেওয়া যাক।
বড় শহর মানেই মানুষ আর গাড়িঘোড়ার ভিড়। সেখানে রাস্তায় ট্র্যাফিক সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় ট্র্যাফিক পুলিশকে। আর সেই কাজটাকেই এ শহরে আরও একটু কঠিন করে দিচ্ছে গুগল ম্যাপ। কোন রাস্তা দিয়ে তাড়াতাড়ি পৌঁছনো যাবে, তা দেখানোর পাশাপাশি কোন রাস্তার কোথায় ট্র্যাফিক পুলিশের ঘাঁটি, তাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে সে। আর তার দরুনই সেসব রাস্তা এড়িয়ে যাচ্ছেন গাড়িচালকেরা, অথবা সে রাস্তায় আগেভাগেই সতর্ক হয়ে আইন ভাঙছেন অন্য রাস্তায় গিয়ে। ফলে ট্র্যাফিক সামলানোর কাজ উত্তরোত্তর আরও কঠিন হয়ে উঠছে পুলিশের জন্য।
আরও শুনুন:
৩০০০ বছরের পুরনো কাশী, এর থেকেও প্রাচীন শহর আছে পৃথিবীতে?
এমনিতে রাস্তা দেখানোই গুগল ম্যাপের কাজ। কোন রাস্তা দিয়ে গেলে ট্র্যাফিক জ্যাম কম হবে, আর কোন রাস্তায় ভিড় বেশি, তাও সে বাতলে দিয়ে থাকে। কিন্তু কোন রাস্তায় ট্র্যাফিক পুলিশ রয়েছে, তাও যদি সে বাতলে দেয়, গোল বাধে সেখানেই। কারণ, যাঁরা ট্র্যাফিক আইন না মেনে তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছতে চান, পুলিশকে সমঝে চলতেই হয় তাঁদের। আইন ভাঙলেই পুলিশ যে এসে মামলা ঠুকবে। সেই ঝামেলায় জড়াতে আর কে চায়! তাই গতির নেশায় প্রাণ যতই মাতোয়ারা হোক না কেন, পুলিশের ভয়ে খানিক সামলে চলেন তাঁরাও। কিন্তু রাস্তায় পুলিশ নেই, এ কথা যদি জানা হয়ে যায় আগেভাগেই? তবে তো নিয়ম ভাঙতে বাধা থাকে না আর। কিংবা কোন রাস্তায় পুলিশের কড়া পাহারা, তা জানলেও সেই বিশেষ রাস্তায় সতর্ক হওয়া যায়। বেঙ্গালুরু শহরে হচ্ছে ঠিক তেমনটাই। পুলিশের আচমকা চেকিং-এর ভয় থাকলে তবেই না গোটা পথে সাবধানে গাড়ি চালান চালকেরা। কিন্তু পুলিশ কোথায় আছে জানা থাকলে তো পোয়া বারো। এমনিতেই এ শহর ট্র্যাফিক জ্যামের জন্য কুখ্যাত। সেখানে কোন রাস্তায় ফাঁকফোকর খুঁজে চটজলদি বেরিয়ে যাওয়া যাবে, সে খোঁজ করেন সকলেই। এখানেই কাজে লাগছে গুগল ম্যাপ। নামধাম গোপন রেখেই অনেকে গুগল ম্যাপে লিখে দিচ্ছেন, ঠিক কোন কোন রাস্তায় পুলিশ থাকবে। সতর্ক করে দিচ্ছেন, ওখানে পুলিশ থাকবে, অতএব হুঁশিয়ার।
আরও শুনুন:
কোটি কোটি টাকার লোভ নেই! কোনও চোরের নজর খেলনায়, কেউ সন্তুষ্ট ফলের রসেই
সম্প্রতি এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান এক নেটিজেন। তারপরেই শোরগোল পড়ে আইন ভাঙার এই অভিনব কায়দা নিয়ে। তবে আমজনতা এতে যতই মজা পান না কেন, এই কাণ্ডের জেরে ট্র্যাফিক পুলিশের কাজ যে আরও বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়াল, একইসঙ্গে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও বাড়ল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।