ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে খাওয়া হত কুইনাইন। আর সেই ওষুধ থেকেই তৈরি হল জনপ্রিয় পানীয়, জিন অ্যান্ড টনিক। কেমন করে? শুনে নিন সে গল্প।
পানের প্রতি আসক্তি যাঁদের, ককটেল শব্দটি তাঁদের বড়ই প্রিয়। তবে এ পান সলিড নয়, তরল। খাঁটি সাহেবদের ডিনার পার্টির আগে তো ককটেল থাকবেই, তবে এখন দেশি সাহেবরাও কম যান না। শৌখিন উচ্চবিত্ত পার্টিতে ককটেল থাকবে না, এমন দিন ফুরিয়েছে বহুকাল হল। আজকের গল্প এই ককটেল নিয়েই।
আরও শুনুন: জন্মদিনে কেক কাটার রেওয়াজ শুরু হল কবে?
ককটেল হিসেবে জিন আর টনিক বহুলপ্রচলিত। বিশেষ করে হাইবল ককটেল-এর মধ্যে এটি অন্যতম। ওহো, ভাবছেন হাইবল ককটেল কী? আর কিছুই না, অ্যালকোহল বেসের ওপর নন-অ্যালকোহল জিনিসপত্র যেখানে বেশি মাত্রায় থাকে, সেটাই হাইবল ককটেল। অধিকাংশ সময়েই নন-অ্যালকোহল জিনিস বলতে থাকে কার্বনমিশ্রিত পানীয়। জিন অ্যান্ড টনিকে এই পানীয়টি হল টনিক ওয়াটার। শুনলেই মনে পড়ে তো, ছোটবেলায় ওষুধ হিসেবে টনিক খাওয়ার কথা? ঠিকই ধরেছেন, টনিক ওয়াটারে থাকে কার্বনমিশ্রিত জল আর কুইনাইন, ব্যস, আর কিচ্ছু না। তা হঠাৎ অ্যালকোহলের সঙ্গে এহেন ওষুধ মেশানোর কারণ কী?
আরও শুনুন: আমেরিকার রাষ্ট্রপতির জন্যই জন্ম টেডি বিয়ারের, কীভাবে জানেন?
এখানেই কাহানি মে টুইস্ট। আসলে আগেকার দিনে ম্যালেরিয়া অধ্যুষিত এলাকায় কোনও সাহেব গেলেই, তাঁর বাক্সে একটা জিনিস অবশ্যই থাকত। সিঙ্কোনা গাছের ছাল। সিঙ্কোনা কেন? কারণ, ষোড়শ শতক নাগাদ এই ছালের গুণাগুণ নজরে আসে। সৌজন্যে আমেরিকার জেসুইট পাদরিরা। তাঁরা দেখলেন, কোয়েচা রেড ইন্ডিয়ানরা সিঙ্কোনা গাছের ছালের তেতো রস খায়। সে রস খেলে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ তো কমেই, এমনকি সেরেও যায়। পাদরিরা এই তেতো ছালের গাছ নিয়ে এলেন স্পেনে। এই নতুন পাওয়া ওষুধ রোগীদের আস্তে আস্তে সারিয়ে তুলতে লাগল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন ভারতে ব্যবসা জাঁকিয়ে বসল, সেই সূত্রে ইংরেজদের আনাগোনা বাড়ল ভারত তথা বাংলায়। বাংলা তখন মশাদের স্বর্গরাজ্য। ‘রেতে মশা, দিনে মাছি/ এই নিয়ে কলকেতায় আছি’। ভারত-সহ যে কোনও ট্রপিক্যাল দেশে তখন ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত, অথচ এই রোগের কোনও ওষুধ নেই তখনও। এই অসুখ নিয়ে দারুণ ভয় সাহেবদের।
বাকি গল্প শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।