ভুলে যাওয়া নিয়ে সমস্যা? কিন্তু ভুলে না যাওয়া নিয়েও যে সমস্যা হতে পারে, জানেন? আপনাকে মুশকিলে ফেলতে পারে নেট দুনিয়ার সবকিছু মনে রাখার অভ্যাস।
মনে করা যাক, কোনও প্রিয় মানুষ চলে গিয়েছেন আপনাকে ছেড়ে। দিন যায়, মাস যায়, বছরও ঘোরে, কিন্তু সেই শোক একইরকম তীব্র। প্রতি মুহূর্তে সেই দমচাপা ভয়ংকর কষ্ট বয়ে বেড়াতে হচ্ছে আপনাকে। ভাবুন তো, কী ভয়ানক হত সেই অবস্থাটা! ‘টাইম ইজ দ্য বেস্ট হিলার’ কথাটা কতবার, কত দুঃসময়ে আপনি কাউকে বলেছেন, অথবা আপনাকে এই কথাটা মনে করিয়ে দিয়েছে কেউ। শোক যত প্রবলই হোক, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা ফিকে না হয়ে এলে মানুষ তো সুস্থ হয়ে বাঁচতে পারত না। বোঝা যায়, মানুষ নামক যন্ত্রটিকে যিনিই বানিয়ে থাকুন, সেই বিশ্বকর্মা ঠাকুর তার মধ্যে অতি অবশ্যই পুরে দিয়েছেন ভুলে যাওয়ার কোনও যন্ত্রাংশ। ভুলে যাওয়া তাই মানুষের সাধারণ ধর্ম। তার বেঁচে থাকার ডিফেন্স মেকানিজম।
আরও শুনুন: আফগানিস্তানে তালিবান শাসন কায়েমে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মালালা
আর এই পদ্ধতিটাকেই ঘেঁটে ঘ করে দিয়েছে আজকের ইন্টারনেটের বাড়বাড়ন্ত। ইন্টারনেটের দৌলতে আপনি চাইলেও আর সহজে কিছু ভুলতে পারবেন না। ফেসবুকাররা ভাল করেই জানেন, বেশ কিছুদিন হল ফেসবুক নিয়ে এসেছে একটি নতুন ফিচার, ‘অন দিস ডে’। অর্থাৎ অতীতে আজকের তারিখে আপনি যদি ফেসবুকে কোনও পোস্ট করে থাকেন, ফেসবুক না চাইতেই আজ আপনার সামনে হাজির করবে সেই পুরনো পোস্টটি। তা সে যত বছর আগের কথাই হোক না কেন। এবার যদি সেই স্মৃতিতে এমন কোনও প্রিয়জন বা প্রিয় ঘটনা থাকে, যা আজকের দিনে আপনার কাছে অপ্রিয় হয়ে উঠেছে, সেক্ষেত্রে এই স্মৃতি উলটে চাপ বাড়াবে আপনার মনের ওপর। কোনও মানুষের মৃত্যুর পরেও তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি রয়ে যায় যেহেতু, বন্ধুদের কাছে তাঁর জন্মদিনের নোটিফিকেশন আসতে থাকে প্রতি বছর। ঠিক যেমন, আপনি নিজে ডিলিট না করা পর্যন্ত সেই মানুষটির ফোন নম্বর, মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপে হওয়া কথাবার্তা, কিছুই মুছে যায় না আপনার ফোন থেকে।
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।