স্বপ্নকে ছুঁতে একটা গোটা জীবন কি যথেষ্ট? যাঁরা কোনও একটা স্বপ্নে বুঁদ হয়ে থাকেন, তাঁরা হয়তো ভাবেন এ কথা। আর সেই সকল স্বপ্নদেখা মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে জনৈক বৃদ্ধের গল্প। ৭৮ বছর বয়সে যিনি স্বপ্নপূরণ করে দেখে এলেন এভারেস্ট। আসুন শুনে নিই সেই গল্প।
বয়স মানুষকে খানিকটা পিছনে টেনে রাখে। বয়স্কের পৃথিবী তাই যেন খানিক আলাদা। মনে হয়, যে গতির দুনিয়া তাঁর সামনে দিয়ে বয়ে চলেছ, তার সঙ্গে যেন আর পাল্লা দেওয়া সম্ভব নয়। ফলত মনের অপূর্ণ বাসনা যদি কিছু থেকেও থাকে, সেসব মনের গোপনেই তুলে রাখেন বয়স্করা। এ কথা ঠিক যে, বয়স-সামর্থ্য অনেক সময়ই স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবে কেউ কেউ পারেন সেই প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে স্বপ্নকে স্পর্শ করতে। যেমন পারলেন মহারাষ্ট্রের সত্তরোর্ধ্ব এই বৃদ্ধ। স্ত্রীর হাত ধরেই এভারেস্ট দর্শন করলেন তিনি।
আরও শুনুন: দুর্গন্ধে টেকা দায়! উৎকট গন্ধের দৌলতেই বিশ্বজোড়া খ্যাতি এই সব ফুলের
সম্প্রতি এই বৃদ্ধের কাহিনি সকলের সামনে এনেছেন অ্যান্ডি থাপা। তিনি একজন পাইলট। বৃদ্ধের স্বপ্নপূরণ করে তিনিই এভারেস্ট দর্শন করিয়েছেন। তবে কাজটা যে সহজ ছিল না, সে কথাই নেটদুনিয়ায় জানিয়েছেন তিনি। প্রায় ১৭০০০ ফুট উপরে তিনি নিয়ে যান ওই বৃদ্ধ এবং তাঁর স্ত্রীকে। এত উচ্চতায় অক্সিজেনের পরিমাণ কমই থাকে। বয়স্ক মানুষের জন্য তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তবে বৃদ্ধের ইচ্ছের জোরে তিনিও মানসিক জোর পেয়েছিলেন। আর তাই শেষমেশ রাজি হয়ে যান এই কাজে। তাঁকে অবাক করেছে বৃদ্ধের স্ত্রী-র সাহসও। অ্যান্ডি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বৃদ্ধ এবং তাঁর স্ত্রী দু-চোখ ভরে দেখছেন এভারেস্টকে। বৃদ্ধের স্ত্রী-ই বরং উৎসাহ জোগাচ্ছেন সেই কাজে। হাতে হাত রেখে স্বপ্ন স্পর্শ করেছেন তাঁর।
আরও শুনুন: দেওয়ালে রং করলেই আলো জ্বলবে ঘরে, বিজ্ঞানীদের আশ্চর্য আবিষ্কার সৌর রং
অপূর্ব এই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন পাইলট। প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন, বৃদ্ধের বয়স আশি পেরিয়েছে। তবে নেটদুনিয়াতেই এ ভিডিও দেখে বৃদ্ধের আত্মীয়রা জানিয়ে গিয়েছেন যে, বৃদ্ধের বয়স ৭৮। আর এই বয়সে যে তিনি এভারেস্ট দেখার মতো কাজ করেছেন, তা রীতিমতো অবাক করে দিয়েছে নেটিজেনদের। অনেকের কাছেই এই গল্প অনুপ্রেরণার হয়ে উঠেছে। সে কথা জানিয়েছেন অ্যান্ডিও। তিনি বলেছেন, স্বপ্ন তো কোনও জাদুতে সত্যি হয় না। তা সত্যি করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হয়। এই বয়সে এসে লক্ষ্যে স্থির থেকেই তাই স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন এই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। তাঁদের এই স্বপ্নপূরণের সাহসী পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরাও।