অনেকের বাড়িতেই পোষ্য কুকুরটিকে পরিবারের অন্যতম সদস্য হিসেবে মানা হয়। অনেকে আবার কুকুরের নামের সঙ্গে জুড়ে দেন পারিবারিক পদবি। কিন্তু সেই পোষ্যের জন্য জাতি শংসাপত্রের আবেদন করা, বোধহয় একেবারেই বিরল। সম্প্রতি এমনই এক অনলাইন আবেদন দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন শুনে নিই।
বাড়ির অন্যান্য সদ্যস্যদের মতো পোষ্য কুকুরটিরও রয়েছে আধার কার্ড। সেই সরকারি পরিচয়পত্র দেখিয়েই এবার তার জন্য জাতি শংসাপত্রের আবেদন জানিয়েছেন এক ব্যক্তি। যা দেখার পর রীতিমতো অবাক সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তারা।
আরও শুনুন: ৩ হাজার কোটির মালিক! বিশ্বের সবচেয়ে ধনী কুকুরকে ঘিরে থাকেন লাস্যময়ী তরুণীরা
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। এমনই অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন বিহারের গুরারু জোনাল অফিসের কর্মকর্তারা। সাধারণত সঠিক পরিচয়পত্র ও কিছু যাবতীয় নথি থাকলেই জাতি শংসাপত্র মঞ্জুর করে দেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর। কিন্তু এক্ষেত্রে সব ঠিক থাকা সত্ত্বেও শংসাপত্র দিতে ভারি সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। কারণ যার জন্য এই শংসাপত্র চাওয়া হয়েছে, সে একটি চারপেয়ে প্রাণী। যদিও তাকে সেই নজরে একেবারেই দেখেন না তার মালিক। তাই রীতিমতো সরকারি পরিচয়পত্র রয়েছে তার নামে। পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার নাম ‘টমি’। সাধারণত পোষ্যকে এতখানি ভালবাসেন যারা, তেমন পরিবারের মানুষজন পোষ্যকে নিজের সন্তান হিসবেই পরিচয় দেন। তবে ‘টমি’-র আধার কার্ডে উল্লেখ রয়েছে তার সত্যিকারের বাবা-মায়ের নামই। শেরু ও গিনি নামে সেই দুই কুকুরও সম্ভবত এই পরিবারেরই অন্যতম পোষ্য। এখানেই শেষ নয়। একেবারে আসল আধার কার্ডের মতোই টমির আধার কার্ডে লেখা রয়েছে তার জন্মের তারিখ। দেওয়া রয়েছে ঠিকানা। এবং সেইসঙ্গে অতি অবশ্যই দেওয়া রয়েছে কুকুরটির ছবিও।
আরও শুনুন: বাড়তি আয়ের লোভে ছাড়লেন শিক্ষকতা, কুকুরদের বেড়াতে নিয়ে গিয়েই কোটিপতি যুবক
যদিও এই পরিচয়পত্র যে সম্পূর্ণ নকল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই বলেই জানিয়েছে পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই তার শংসাপত্রের আবেদন খারিজ করা হয়েছে ব্লক অফিসের তরফে। একইসঙ্গে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে এই ধরনের মশকরা কে করেছে সে খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, আবেদনে থাকা নাম্বারটিও ভুয়ো। তাই ব্যাপারটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। তবে এমন ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই বেশ শোরগোল শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়। ইতিমধ্যেই টমির অভিনব আধার কার্ডের ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। অনেকেই বিষয়টিকে নিছক মজার ছলে দেখেছেন। অন্যদিকে সরকারি কাজে এহেন মশকরা মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। সব মিলিয়ে নেটদুনিয়ার নিত্যনতুন আজব ঘটনার তালিকায় আরও একটি নতুন খবরের সংযোজন করেছে এই কাণ্ড।