হাসপাতালে বিয়ে। নতুন ব্যাপার নয় মোটেও। বিয়ের দিন বর বা কনে অসুস্থ হয়ে পড়লে এমনটা হয়েই থাকে। তবে এক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রী এক্কেবারে সুস্থ। বরং হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় রয়েছেন পাত্রীর বাবা। আর তাঁর শেষ ইচ্ছাপূরণ করতেই ICU বদলে গেল বিয়ের মণ্ডপে। কোথায় হয়েছে এমন কাণ্ড? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
জীবনের ছোটখাটো সব শখ মিটিয়েছেন বাবা। তার জন্য সাধ্যের বাইরে যেতেও দুবার ভাবেননি। কিন্তু তাঁর ইচ্ছার দাম কজন দিয়েছেন? বাকি দুনিয়া যাই করুক, একজন সন্তান সবসময় চায় তাঁর বাবার সব ইচ্ছাপূরণ করতে। তাতে অদ্ভুত এক প্রশান্তি মেলে। ঠিক যেমনটা করেছেন লখনউ-এর দুই বোন।
:আরও শুনুন:
বাবার গল্প: সন্তানের রক্তাক্ত লাশের সামনে দাঁড়িয়েও ভালোবাসার কথা বলেন যে বাবা
সন্তানকে নিয়ে বাবার অনেক স্বপ্ন থাকে। কখনও আবার সন্তানের স্বপ্ন পূরণ করতেই নিজের সবটুকু উজাড় করে দেন বাবা। বদলে সবসময় যে তাঁর কিছু চাই এমনটা নয়। মুখ ফুটে হয়তো বলতেও পারেন না, তাঁর ইচ্ছার কথা। তবে একটা বয়সের পর আলাদা করে কিছু বলতে হয় না। বাবা যেমন না বলতেই পছন্দের চকোলেট নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। নিজে রোজগার শুরু করলে সন্তানও বাবার পছন্দের কিছু হাতে নিয়ে বাড়ি ফেরে। বাবা হয়তো মায়ের মতো নন, তবু তার জায়গা আলাদা। এতটাই, যে কোনওভাবে কোনওকিছুর সঙ্গে তার তুলনা চলে না। সম্প্রতি লখনউ-এর এক ঘটনা বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসার কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।
আরও শুনুন: বাবার গল্প: সন্তানের মৃত্যুশয্যায় হেঁটে পৌঁছতে পারেননি যে বাবা
ঘটনাটি লখনউ-এর মোহনলালগঞ্জ এলাকার। সেখানকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা জুনেইদ। তাঁর দুই কন্যা সন্তান। দুজনেই বিবাহযোগ্যা। সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বৃদ্ধ জুনেইদ। আচমকা নয়। বেশ কয়েকদিন ধরেই ভুগছিলেন নানা শারীরিক সমস্যায়। বাড়াবাড়ি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। এদিকে, দুই মেয়ের বিয়ে দেখার ইচ্ছা প্রবল। সেই মতো বিয়ে ঠিকও করেছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় সব কিছু ভণ্ডুল হয়ে যায়। এদিকে, দু-একদিন ভর্তি থাকার পর জুনেইদের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। চিকিৎসকরা একপ্রকার জানিয়ে দেন, সময় নেই বেশিদিন। তাঁকে ICU-তেও পাঠানো হয়। এর মাঝেও দুই মেয়ের বিয়ের কথা বলেছেন জুনেইদ। মোটের উপর মেয়েদের বিয়ে দেখে যাওয়াই যে তাঁর শেষ ইচ্ছে এমনটাই জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এই অবস্থায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসাও সম্ভব নয়। অগত্যা বিয়ের আসর বসল হাসপাতালেই। তাও আবার ICU-র মধ্যে। ঝাঁ চকচকে বিয়ের পোশাক ছেড়ে হাসপাতালের পোশাকের বিয়ে করলেন জুনেইদের দুই মেয়ে। বর পক্ষও সব নিয়ম মেনে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালে। কোনওভাবে অন্য রোগীদের সমস্যা না হয় সেই শর্তে মিলেছিল অনুমতি। তাও সামান্য কিছুক্ষণের জন্য। কিন্তু তাতে কি! দুই মেয়ের বিয়ে দেখা নিয়ে কথা। তা নিজের চোখেই দেখেছেন জুনেইদ। ঘটনার ভিডিও দেখে আবেগে ভেসেছে নেটদুনিয়াও। বাবার জন্য এমনটাও করা সম্ভব, তা অবাক করেছে অনেককেই!
लखनऊ के एरा हॉस्पिटल के ICU में हुई अनोखी शादी..आईसीयू के अंदर गूंजा कबूल है.. कबूल
एरा हॉस्पिटल के ICU में मौ.इकबाल बीमारी से जूझ रहे हैं। बचने की उम्मीद कम है.. ऐसे मे अपनी आँखों के सामने बेटियों के निकाह की तमन्ना को पूरा करने की बात रखी। डॉक्टरों ने निकाह पढ़ाने वाले मौलाना… pic.twitter.com/iSSsC48rRZ
— TRUE STORY (@TrueStoryUP) June 15, 2024