শুধু নাম টুকুই যথেষ্ট। পর্ন দেখার অভ্যাস রয়েছে অথচ ড্যানি ডেনিয়েলসকে চেনেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু জানেন কী, জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী নির্দিষ্ট শর্ত ছাড়া ক্যামেরার সামনে মিলিত হন না। কী সেই বিশেষ শর্ত? আসুন শুনে নিই।
তাঁর শরীরী আবেদন যে কোনও দর্শকের নজর কাড়তে বাধ্য। কর্মজীবনে হাজারখানেক সঙ্গম-দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু সেসব এখন অতীত। একইভাবে জনপ্রিয় থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট কিছু শর্ত না মানলে ক্যামেরার সামনে সঙ্গমে রাজি হন না ড্যানি ডেনিয়েলস।
আরও শুনুন: ভিডিও দেখে সঙ্গম অনুশীলন করেন অভিনেত্রীরাও! সত্যিই কি পর্ন দেখা খারাপ?
পর্ন দুনিয়ায় কাজ। তাই ক্যামেরার সামনে, সর্বসমক্ষে যৌনতায় লিপ্ত হতে কোনওরকম সংকোচ নেই তাঁর। আর সেই ব্যাপারে তিনি এতটাই সাবলীল যে তাঁকে পর্দায় দেখতে রীতিমতো পছন্দ করেন অনেকেই। এই কাজের দরুন একাধিক পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন ড্যানি ডেনিয়েলস। তবে সম্প্রতি নিজের সম্পর্কে অদ্ভুত এক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন জনপ্রিয় পর্ন অভিনেত্রী। দীর্ঘ ১২ বছর আগে তিনি এই দুনিয়ায় পা রেখেছেন। সে সময় এই জগত সম্পর্ক কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না তাঁর। পর্ন ছবিতে অভিনয় করার শুরুর দিকে নিজেকে সমকামী হিসেবেই দাবি করতেন ড্যানি। মূলত অন্য তরুণীর সঙ্গেই উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠতেন তিনি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ধারণা বদলান নিজেই। ধীরে ধীরে পুরুষ সঙ্গীদের নিয়েও একইভাবে শরীরী খেলায় মেতে উঠতে শুরু করেন ড্যানি। কিন্তু বেশিদিন নয়। ২০১৬ সালে বিয়ের পর নিজের চারিদিকে অদৃশ্য গণ্ডি টেনে দেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ঠিক করেন এরপর থেকে পর্ন ছবিতে অভিনয় করলেও স্রেফ সোলো ভিডিওতে আগুন ঝরাবেন। অর্থাৎ পুরুষ বা মহিলা কারও সঙ্গেই ক্যামেররার সামনে মিলিত হবেন না। স্রেফ নিজের হস্তমৈথুন বা স্ট্রিপ টিজ জাতীয় ভিডিওর মাধ্যমেই মন জয় করবেন দর্শকদের। এমনটা করতেও শুরু করেন। কখনও ক্যামেরার সামনে ধীরে ধীরে সমস্ত জামা কাপড় খুলে ফেলা। কখনও আবার যৌনখেলনা ব্যবহার করে নিজেই নিজেকে উত্তেজনার চরম মুহূর্তে পৌঁছে দেওয়া। যদিও ড্যানির লাস্যে এতটাই মুগ্ধ ছিলেন দর্শকরা, তাঁকে সঙ্গমরত অবস্থায় না দেখেও কোনও অভিযোগ তোলেননি। বরং নিত্যদিন তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা বাড়তেই থাকত।প পর্ন দুনিয়ার নবাগতরা এই নিয়ে রীতিমতো হিংসা করতেন বলেও জানিয়েছেন ড্যানি। কিন্তু একটা শর্তে ক্যামেরার সামনে মিলিত হওয়ায় আপত্তি ছিল না পর্ন অভিনেত্রীর। যদি তাঁর স্বামীর সঙ্গে মিলত হওয়ার সুযোগ পেতেন সেক্ষেত্রে কোনও আপত্তি জানাতেন না। ২০১৬ সালের পর থেকে তাঁকে যে কটি ভিডিওতে উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে, তার সবেতেই উলটোদিকে রয়েছেন ড্যানির স্বামী।
আরও শুনুন: পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য কম হলেও কমবে না সঙ্গিনীর যৌন সুখ, দাবি গবেষকদের
নেপথ্যে কী কারণ জানেন?
অবশ্যই ভালবাসা। ড্যানির দাবি, স্বামীকে ভালবাসেন বলেই অন্য কারও সঙ্গে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা হয় না তাঁর। যদিও একসময় তিনি যা করেছেন তা নিয়ে কোনও আপত্তি ছিল না তাঁর স্বামীর। ড্যানির কথায়, প্রথম থেকেই তাঁর এই কাজকে সাপোর্ট করেন তাঁর স্বামী। সেইসঙ্গে আরও একটা বিষয় রয়েছে। ড্যানির কথায়, পর্ন জগতে নবাগতদের শরীরী চাহিদা অন্য রকমের। সব ক্ষেত্রে তা সহ্য করার মতো ক্ষমতা তাঁর হয় না। তাছাড়া নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কারও বিকৃত যৌন পীপাসা মেটাতে এতটুকু রাজি নন ড্যানি। কিন্তু তাঁর স্বামীর সঙ্গে এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয় না। তিনি কোনওভাবেই ড্যানি অস্বস্তিতে পড়বেন এমন কাজ করেন না বলেই দাবি অভিনেত্রীর। তাই আগামী দিনেও সঙ্গমের উপযুক্ত পুরুষ হিসেবেই তাঁকেই বেছে নিতে চান ড্যানি। যদিও ক্যামেরার সামনে সেই যৌনতার অবকাশ অনেকটাই কমিয়ে এনেছেন। নিজের শরীরী আবেদনেই দর্শকদের মাতিয়ে রাখতে পছন্দ করেন তিনি। ভবিষ্যতেও এমনটাই করবেন বলে দাবি ড্যানি ডেনিয়েলসের।