বিয়ের আগে যৌনতা নিয়ে অনেকেরই ছুঁতমার্গ থাকে। কিন্তু বিয়ের পর যৌনতা একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার। নিজেদের আরও ভালো করে চিনে নেওয়ার জন্য যৌনতাকেই প্রধান মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন অধিকাংশ যুগল। সিনেমায় কিংবা গল্পেও এমনটা দেখতেই আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু বিয়ের পরেও মিলিত হতে রীতিমতো লজ্জা পেতেন এক জাপানি যুগল। যৌনতা নিয়ে ভয়ও পেতেন তাঁরা। আর শেষপর্যন্ত সেই সঙ্গমেই হল কাল! প্রথমবার মিলিত হয়েই চরম বিপদ নেমে আসে তাঁদের জীবনে। আসুন শুনে নিই।
একসঙ্গে থাকেন। সম্পর্কের সামাজিক স্বীকৃতিও রয়েছে। সেক্ষেত্রে যৌনতায় কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়। কিন্তু এই সবকিছুর পরেও কিছুতেই মিলিত হতে চাইতেন না এক জাপানি যুগল। যৌনতায় তাঁদের বেজায় ভয়। সেইসঙ্গে চরম লজ্জা। একে অপরকে নগ্ন হিসেবে দেখবেন এমনটা ভাবতেই পারতেন না তাঁরা। কিন্তু কতদিন আর এইভাবে থাকা যায়। তাই একসময় ভয়কে জয় করে, যৌনতায় মেতে ওঠেন। আর এতেই হল কাল।
আরও শুনুন: সঙ্গম নয়, হস্তমৈথুনে বেশি তৃপ্তি পান মহিলারা! পাল্লা ভারী কোন দিকে?
কী হয়েছিল তাঁদের? তাহল খুলেই বলা যাক।
জাপানের টোকিওর বাসিন্দা সাচি হিডাকা এবং তাঁর স্ত্রী টোমিয়ো। দীর্ঘ ১৪ বছরের বিবাহিত জীবন তাঁদের। এতদিন একসঙ্গে থাকলে যে কারও মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠাই স্বাভাবিক। উপরন্তু তাঁরা বিবাহিত। থাকতেন একই বাড়িতে। রাতে ঘুমোতেনও একই বিছানায় । তাই সাধারণ দম্পতিদের মতোই জীবন ছিল তাঁদেরও। তফাৎ শুধু একটি ক্ষেত্রেই। কোনওভাবেই সঙ্গম করতেন না তাঁরা। যৌনতায় বেজায় ভয় পেতেন তাঁরা। ঠিক কেন এই ধারণা তাঁদের হয়েছিল তা জানতেন না কেউই। শুধু তাই নয়, যৌনতার প্রসঙ্গ উঠলেই রীতিমতো লজ্জা পেতেন তাঁরা। তাঁদের পরিচিত মহলের দাবি অনুযায়ী, জাপানের এই যুগল একে অন্যকে নগ্ন হিসেবে দেখবেন এমনটা নাকি ভাবতেই পারতেন না। এদিকে মিলনের প্রক্রিয়াও তাঁদের অজানা ছিল না। সমস্যা বলতে ওই লজ্জা আর ভয়। কিন্তু কতদিন আর এইভাবে থাকা যায়। তাঁদের এই অবস্থার কথা শুনে, অনেকেই রীতিমতো কটাক্ষ করতেন। কেউ কেউ পরামর্শ দিতেন ভয় না পেয়ে স্বাভাবিক ভাবে মিলত হওয়ার জন্য। তবু দীর্ঘ ১৪ বছর লজ্জা বা ভয় কাটিয়ে উঠতে পারেননি তাঁরা।
আরও শুনুন: ২০০ সন্তানের বাবা, দিনে ১০০ মহিলার সঙ্গেও যৌনতা সেরেছেন এই যুবক, কীভাবে সম্ভব?
এরপর একদিন রাতে নিজেরাই ঠিক করেন সঙ্গম করবেন। ভাবলেই তো আর হল না, সাধারণ সুস্থ অবস্থায় এই কাজ করতে তাঁরা যে অপারগ তা ভালোই বুঝতে পারেন। তাই দুজনেই নেশা করতে শুরু করেন। ভেবেই রেখেছিলেন, নেশার তাড়নায় ঠিক মিলনের ইচ্ছা তৈরি হবে। বাস্তবে হয়েওছিলও তাই। নেশাগ্রস্থ অবস্থায় দুজনেই মেতে ওঠেন উদ্দাম যৌনতায়। দীর্ঘ ১৪ বছর পর মিলিত হলেও সেই যৌনতার স্বাদ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে শুরু করেন তাঁরা দুজনেই। কিন্তু সেই সুখ বেশিক্ষণ সহ্য হয়নি। জীবনে প্রথমবার যৌনমিলন, তাতেই এত উত্তেজনা সহ্য হয়নি তাঁদের। সঙ্গমরত অবস্থাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তাঁরা। এমনকি এর জেরে মৃত্যুও হয় দুজনেরই। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত হয় দুটি দেহরই। তাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চিকিৎসকের দাবি ছিল, তাঁদের দুজনেরই কোনও হৃদরোগ ছিল না। অর্থাৎ স্রেফ উত্তেজনার জেরেই তাঁদের এই মৃত্যু। জাপানি দম্পতির এই কাহিনি উঠে এসেছে রুপোলি পর্দাতেও। গড়পড়তা মানুষের কাছে যা চরম তৃপ্তির, সেই সঙ্গমের জেরেও যে কারও মৃত্যু হতে পারে, একথা চমকে দিয়েছিল সকলকেই।