বিয়ে মানেই উপহারের বন্যা। দামি, শৌখিন, শোভন নানারকম উপহার। কিন্তু এই বিয়েতে পাত্রীর বাবা যে উপহার দিয়েছেন, তা দেখে চোখ চড়কগাছ সকলেরই। শাড়ি গয়না নয়, ফুল মালাও নয়, বরযাত্রীদের তিনি আপ্যায়ন করেছেন হেলমেট দিয়ে। আসুন, শুনেই নেওয়া যাক।
কেউ ঘরোয়া আয়োজন পছন্দ করেন, তো কেউ আবার বিগ ফ্যাট ওয়েডিং-এর পক্ষপাতী। কিন্তু বিয়ে যেভাবেই হোক, তাতে কিছু না কিছু উপহার তো থাকেই। কেবল বর কনের জন্যই নয়, দুই পরিবারের সদস্যদের জন্যেও এই উপলক্ষে উপহার বরাদ্দ থাকে। সে উপহার হতে পারে শাড়ি জামাকাপড়, হতে পারে সোনাদানা গয়না কিংবা সাজের জিনিস, বা শৌখিন কোনও বস্তু। কিন্তু সেই উপহার নির্বাচনেই সম্প্রতি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এক পাত্রীর বাবা। অতিথি-অভ্যাগত, বরযাত্রীদের উপহার দিতে তিনি পিছপা হননি মোটেই। কিন্তু সে উপহার কোনও শৌখিন বস্তু নয়। স্রেফ একটি করে হেলমেট উপহার হিসেবে তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। আর সেই উপহার দেখেই কার্যত হকচকিয়ে গিয়েছেন বরের পরিবারের লোকজন।
-: আরও শুনুন :-
বাস্তবের দাতা কর্ণ! ৮২৯৭৩৪ কোটি টাকা দানের নজির বিশ্বে গড়েছেন একজন ভারতীয়ই
হ্যাঁ, এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছেন সেদ যাদব। ছত্তিশগড়ের কোবরা জেলার এই বাসিন্দা তাঁর মেয়ের বিয়েতে অতিথিদের হাতে তুলে দিয়েছেন হেলমেট। তাঁর মেয়ে নীলিমা একজন ক্রীড়াশিক্ষক। সম্প্রতিই বিয়ে হয়েছে তাঁর। আর সে আসরে যেসব অতিথি মোটরবাইকে চড়ে এসেছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে হেলমেট তুলে দিয়েছেন কনের বাবা। বরযাত্রীরাও পেয়েছেন সে উপহার। জানা গিয়েছে, মোট ৬০টি হেলমেট উপহার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কী কারণে এমন উপহার বেছে নিয়েছেন ওই ব্যক্তি? সে কারণ নিজেই খুলে জানিয়েছেন তিনি।
-: আরও শুনুন :-
নেপথ্যের শিল্পী, উস্তাদ জাকির হুসেনের জন্য তবলা বানান যে রামচন্দ্র
আসলে পথ সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতা তৈরি করার জন্যই এ কাজ করেছেন তিনি। মেয়ের বিয়েতে যেহেতু বহু মানুষ আসবেন, তাই সেই অনুষ্ঠানকেই সচেতনতা প্রচার মঞ্চ হিসাবে কাজে লাগিয়েছেন ওই ব্যক্তি। মদ্যপান করে বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অনেকেই। আবার মদ্যপান না করলেও দুর্ঘটনা হতে পারে নানা কারণেই। আর সেইসব দুর্ঘটনায় অনেকেই মারাত্মকভাবে জখম হন, প্রাণও হারান, যা হয়তো হেলমেট থাকলে এড়ানো যেত। বিয়ের আসরে হেলমেট উপহার দিয়ে অতিথিদের সে কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন এই ব্যক্তি। সঙ্গে জানিয়েছেন সতর্ক থাকার অনুরোধও।