হু হু করে বিক্রি হচ্ছে কন্ডোম। অধিকাংশই ক্রেতাই বয়সে তরুণ। বিক্রির বহর কখনও সখনও দোকানদারদেরও অবাক করছে। কিন্তু কেন এত কন্ডোম বিক্রি! শুধু কি সঙ্গমের জন্য, নাকি এর নেপথ্যে আছে অন্য কারণ! আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বৃষ্টিতে বিঘ্ন হয়েছিল আইপিএল ফাইনাল। চরম টেনশনে দুই দলের খলোয়াড়রা। একই রকম উদ্বেগ ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যেও। আর তার মধ্যেই ভেসে এসেছিল একটি খবর। জনপ্রিয় এক ডেলিভারি সংস্থা জানিয়েছিল, সেই রাতে নাকি হু হু করে বিক্রি হচ্ছে কন্ডোম। তাতে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। তা নিয়ে মজা-মশকরাও কম হয়নি! কিন্তু এ তো মাত্র একটা ঘটনা। মাঝেমধ্যেই এ খবর সামনে আসে যে, কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় অল্পবয়েসিদের মধ্যে বেড়েছে কন্ডোম বিক্রি। কন্ডোমের চাহিদা দেখে দোকানিরা অনুমান করেছিলেন যে, স্রেফ সঙ্গমকালীন সচেতনতার জন্য এত কন্ডোম বিক্রি হতে পারে না। নেপথ্যে নিশ্চয়ই অন্য কারণ আছে। আরও একটি দিক উল্লেখ করার মতো। এই ক্রেতাদের কেউই সাধারণ কন্ডোম পছন্দ করেন না। স্ট্রবেরি বা চকোলেট ফেল্ভারড বা যে কোনও ফ্লেভারড কন্ডোমই তাঁদের চাহিদার শীর্ষে। অল্পবয়সিদের বেশি বেশি কন্ডোম কেনা আর ফ্লেভারড কন্ডোম পছন্দ- এই দুটি দিক মিলিয়েই নতুন একটি তথ্য উঠে আসছে সামনে।
আরও শুনুন: স্বামী নয়, ভালবাসার মানুষ শ্বশুর! নিজের শর্তেই যমজ সন্তানের মা হতে চলেছেন ‘বউমা’
রসায়ন নিয়ে চর্চা করেন যাঁরা, তাঁরা বলছেন, সুগন্ধী বা ফ্লেভারড কন্ডোম কেনার কারণ আছে। এই ধরনের কন্ডোম যদি গরমজলে অনেকক্ষণ ভিজিয়ে রাখা হয় তাহলে তা থেকে অ্যালকোহলিক যৌগ তৈরি হয়। অর্থাৎ যা দিয়ে সুগন্ধী প্রস্তুত করা হয়, গরম জলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে তা ভেঙে গিয়েই তৈরি হয় এমন এক যৌগ যা নেশার কাজে ব্যবহৃত হয়। মূলত পলিইউরিথিনের কারণেই এই নেশাকারক গন্ধের জন্ম হয়। বাড়িতে ব্যবহৃত রাবারজাতীয় পদার্থেই এটি থাকে। তবে তা স্বল্প মাত্রায়। কন্ডোম থেকে এই যৌগ নিষ্কাশন করে নিয়েই তা নেশার কাজে ব্যবহার করে থাকেন অল্পবয়েসিরা। আর তাই কন্ডোমের এত বিক্রি।
আরও শুনুন: ‘এখন খান, মৃত্যুর পরে দাম মেটাবেন’, রেস্তঁরার অদ্ভুত বিজ্ঞাপন ঘিরে হইচই নেটদুনিয়ায়
এর ক্ষতি কী কী হতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নেশা একবার ধরে গেলে তা মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। শুধু শারীরিক ক্ষতি নয়, মানসিক নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া এই নেশার হাত ধরে আরও বড় নেশা অর্থাৎ ড্রাগের নেশাতেও আশক্ত হয়ে উঠতে পারেন কেউ কেউ। অতএব হু হু করে কন্ডোম বিকোচ্ছে মানেই যে তা স্রেফ সঙ্গমের কারণে বিক্রি হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। অনেকে তা নেশার কারণেও ব্যবহার করতে পারে। আর যেহেতু এখন অ্যাপে অর্ডার দিয়েই কন্ডোম হাতের নাগালে চলে আসে, তাই গোপনে এ ধরনের নেশা করা আরও সহজ হয়ে গিয়েছে। তাই কন্ডোম বিক্রি বাড়লে সবটাই যে সঙ্গমের নেশা তা আর বলা যায় না। বরং নেশার দরুনই যে হাতে কন্ডোম তুলে নেয় কেউ কেউ, তা আশঙ্কা বাড়ায় বই কমায় না।