কাজের দিনের বাইরে একটি ছুটির দিনেও হাজিরা দিয়েছিলেন এক কর্মী। আশা ছিল বাড়তি টাকা রোজগারের। কিন্তু সে আশা পূরণ হওয়া দূরে থাক, উলটে চাকরি যাওয়ার হুমকি পান ওই যুবক। আর তাতেই মরিয়া হয়ে ভয়ংকর প্রতিশোধ নিলেন তিনি। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বেতন নিয়ে বাকবিতণ্ডা। তার উপরে আবার চাকরি থেকে ছাঁটাই করার হুঁশিয়ারি। রেগেমেগে কর্তৃপক্ষের উপর আশ্চর্য প্রতিশোধ নিলেন এক যুবক। যে রেস্তরাঁয় তিনি কাজ করতেন, সেখানে গোটা কুড়ি আরশোলা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি, জানা গিয়েছে এমনটাই। কিন্তু কী হল তারপর? আসুন, তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: বিশ্বের ভাগ্যবান মানুষ! অজান্তেই রাতভর বিষাক্ত সাপের পাশে ঘুমিয়ে দিব্যি বেঁচে ব্যক্তি
চাকরি মানেই অহরহ তটস্থ থাকা, কখন যে কোন কাজ এসে পড়ে! আর কর্তৃপক্ষের গুডবুকে থেকে যদি মাইনেটা একটু বাড়িয়ে নিতে হয়, তবে মন দিয়ে বেশি বেশি কাজ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। অন্তত এমনটাই ভেবেছিলেন যুক্তরাজ্যের লিঙ্কনে এক রেস্তরাঁর কর্মী, টম উইলিয়ামস। নির্ধারিত কাজের দিনগুলিতে তো যার যা বরাদ্দ কাজ, তা করতেই হয়। তার বাইরে একটি ছুটির দিনেও যখন তাঁকে কাজ করতে বলা হয়েছিল, সে প্রস্তাবে আপত্তি করেননি বছর পঁচিশের ওই যুবক। কথামতো কাজও করেছিলেন তিনি। আশা ছিল, সেজন্য কিছু অতিরিক্ত বেতন পাওনা হবে তাঁর। কিন্তু আদতে ঘটনা ঘটল তার ঠিক বিপরীত। ওই কর্মীকে তাঁর প্রাপ্য টাকা দিতে অস্বীকার করেন রেস্তরাঁর কর্তৃপক্ষ। যার জেরে দু-পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এক কথা দু-কথায় সমস্যা আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। এমনকি ওই কর্মীকে চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ।
আরও শুনুন: আরশোলার নাম রাখা যাবে প্রাক্তনের নামে, প্রেম দিবসে উপলক্ষে অভিনব ‘অফার’ চিড়িয়াখানায়
আর এরপরই কাহিনিতে টুইস্ট। গোটা ঘটনায় ওই যুবক তো রেগে লাল! কিন্তু এত সহজে সবকিছু মেনে নিয়ে সরে যেতে রাজি ছিলেন না তিনি। ঠিক করেন, উচিত শিক্ষা দেবেন কর্তৃপক্ষকে। আর সেই কারণেই সকলের অগোচরে, তিনি গোটা কু়ড়ি আরশোলা ছেড়ে দেন রেস্তরাঁয়। তবে, বাড়িতে যে সাধারণ আরশোলার দেখা মেলে, এই আরশোলাটি কিন্তু সে গোত্রে পড়ে না। চিড়িয়াখানায় রাখা সাপ এবং ট্যারান্টুলা মাকড়সাদের খাওয়ানোর জন্য এই বিশেষ ধরনের আরশোলা ব্যবহার করা হয়। আর এইভাবেই নিজের প্রাপ্য বেতন না পাওয়ার রাগ মেটাতে চেয়েছিলেন ওই যুবক।
তবে শেষ পর্যন্ত গোটা বিষয়টিই ধরা পড়ে যায় সিসিটিভি-তে। ফলে রেস্তরাঁর কর্মী বা অতিথিদের কোনও ক্ষতি করতে পারেনি ওই প্রাণীগুলি। তবে লাখ দুই টাকা খরচ করে পেস্ট কন্ট্রোল-এর কাজ করাতে হয়েছে সেখানে। পাশাপাশি নিজেদের সিদ্ধান্তও পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হয়েছেন রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ। চাকরি থেকে ছাঁটাই করার বদলে ওই কর্মীকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেই আপাতত সমস্যা মিটিয়েছেন তাঁরা। ওই যুবককে ১৭ মাসের জন্য কারাদণ্ড দিয়েছে স্থানীয় আদালত।