পৃথিবীর দ্রুতগামী স্থলচর এই প্রাণীটির অস্তিত্ব এতদিন ভারতে ছিল না। ১৯৫২ সাল নাগাদ এ দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় চিতা। তবে ফের একবার এ দেশের মাটিতে ফিরতে চলেছে প্রাণীটি। এদেশেরই এক জঙ্গল ঠিকানা হতে চলেছে চিতাদের। ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতে নাকি আসছে আফ্রিকান চিতা। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
আর বেশি দেরি নেই। আগামী মাসেই ভারতে আসতে চলেছে আফ্রিকান চিতা। ঠিকই শুনেছেন। পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী স্থলচর প্রাণীটির কথাই হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত ভারতে এই প্রাণীটির অস্তিত্ব ছিল না। এ দেশে যেটির দেখা মেলে সেটি আদতে চিতাবাঘ অর্থাৎ লেপার্ড। যার সঙ্গে চিতার কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও শুনুন: এক ঘণ্টা আলিঙ্গনের দাম ৭০০০ টাকা, অভিনব ব্যবসা খুলে তাক লাগালেন ব্যক্তি
তবে জানা গিয়েছে, ১৯৫২ সালের আগে নাকি চিতার দেখা হামেশাই মিলত এ দেশে। তবে ১৯৫২ সাল নাগাদ হঠাৎই ভারত থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় প্রাণীটি। অত্যধিক শিকার, পাচারের মতো সমস্যা প্রাণীটির অস্তিত্ব নিয়ে তুলে দিয়েছিল বড়সড় প্রশ্ন। আপাতত শুধু আফ্রিকাতেই দেখা মেলে প্রাণীটির।
তবে এবার এ দেশের একটি জঙ্গল পাকাপাকি ঠিকানা হতে চলেছে সেই আফ্রিকান চিতার। বনদপ্তর সূত্রের খবর, স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে মধ্যপ্রদেশের শেওপুর জেলার কুনো-পালপুর ন্যাশনাল পার্কে ছাড়া হতে চলেছে চিতাগুলি। এই জঙ্গলটি আদতে পড়ে চম্বলপুর এলাকার আওতায়। আগামী ১৫ অগস্টের মধ্যেই পার্কে এসে পৌঁছানোর কথা প্রাণীগুলির। তার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একটি মউ সাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে ভারতের।
আরও শুনুন: শখের মাশুল! গাড়ির নম্বর প্লেটে কায়দা করে লেখা ‘পাপা’, দিতে হল মোটা অঙ্কের জরিমানা
আফ্রিকা থেকে ভারতে পশু স্থানান্তরের এই প্রক্রিয়ায় বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে দেহরাদুনের ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। এখনও পর্যন্ত ঠিক ক’টি চিতা ভারতে আসতে চলেছে, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। সে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে মধ্যপ্রদেশের এই জাতীয় উদ্যানটি। মোটামুটি বারো থেকে পনেরোটি চিতার থাকার বন্দোবস্ত করেছে তারা। প্রায় পাঁচ বর্গ কিলোমিটার জায়গাকে আটটি ছোট ব্লকে ভাগ করেছে তারা চিতার জন্য। ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তুতি পর্বের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সারা। এ দেশের পরিবেশে চিতাগুলির থাকতে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তার জন্য বহাল হয়েছে বিশেষজ্ঞ দল। ওয়াকিবহাল মহলের মতো, ওই জঙ্গলটির পরিবেশ চিতাদের জন্য একেবারে আদর্শ। ভারতকে ভবিষ্যতে ফের চিতার ঘাঁটি করে তোলা যায় কি না, সেটিই আপাতত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বন দফতরের কাছে।