গন্তব্য এক। যাত্রার মাধ্যমও এক। তবে একজনের খরচ বেশি, অন্যজনের কম। সৌজন্যে অ্যাপ ক্যাব। মোবাইল আলাদা হওয়ায় এমনটা ঘটেছে। ঠিক কীরকম? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বেরোনোর তাড়া, এদিকে একটাও ক্যাব মিলছে না। এই সমস্যায় অনেকেই ভুগেছেন। আবার বেশি খোঁজাখুঁজি করলে ভাড়া বেড়ে যায় ক্যাবের! এমন অভিযোগও নতুন নয়। কিন্তু মোবাইল আলাদা হলে কী দামের হেরফের হতে পারে? সাম্প্রতিক এক ভাইরাল পোস্টে দেখা গেল, এমনটাও হতেই পারে।
একটা ক্লিকেই বাড়ির সামনে গাড়ি হাজির! অনলাইন ক্যাবের এই সুবিধা প্রায় সকলেই ভোগ করেন। ঝামেলা ঝঞ্ঝাট নেই, গাড়ি পার্কিং-এর কথা ভাবতে হবে না, এদিকে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে নিশ্চিন্তে। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়, ঠিক সময় গাড়ি পাওয়া, আর সঠিক ভাড়ায় পাওয়া। অনেকেই অভিযোগ করেন, অ্যাপ ক্যাব সংস্থা খেয়াল খুশি মতো যাত্রাপথের ভাড়া বদলায়। এমনকি গ্রাহক কোন মোবাইল ব্যবহার করছেন তাতেও বদলে যায় ভাড়া। সম্প্রতি এক ভাইরাল পোস্টে সেই নজির ধরা পড়েছে। পাশাপাশি রাখা দুটি মোবাইল একই গন্তব্যের আলাদা ভাড়া দেখাচ্ছে জনপ্রিয় অ্যাপ ক্যাব সংস্থা। মোবাইল দুটির মধ্যে তফাৎ বলতে দামের। একটি আইফোন, যার দাম অন্তত লাখ খানেক। অন্যটি সাধারন অ্যানড্রয়েড মোবাইল।
অ্যাপ ক্যাবে এমন কারচুপি হয় সেটা আগেই সন্দেহ করেছিলেন সুধীর নামে এক ব্যক্তি। ঠিক করেন বিষয়টা পরীক্ষা করে দেখবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ, যোগাড় করে ফেলেন দুট মোবাইল। একটি অ্যানড্রয়েড, অন্যটি আইওএস। দুটি মোবাইলেই এক অ্যাপ ডাউনলোড করেন। গন্তব্য হিসেবে একই জায়গার নাম দেন দুটিতে। বিষয়টাকে স্বচ্ছ রাখতে একই সময় করেন সবটা। হিসাব অনুযায়ী দুই মোবাইলেই এক ভাড়া দেখানো উচিত ছিল! কিন্তু না, দামী মোবাইলে অন্তত ৩০-৪০ টাকা ভাড়া বেশি দেখানো হয়েছে। তারপরই বিষয়টা নিয়ে খোলাখুলি সোশাল মিডিয়ায় লেখেন সুধীর। কেন এমন কারচুপি, প্রশ্ন তোলেন। রাতারাতি ভাইরাল হয় সেই পোস্ট। বিষয়টা নজরে আসতে মুখ খুলেছে ওই অ্যাপ ক্যাব সংস্থাও। তবে এই অভিযোগ তাঁরা উড়িয়েছেন। দাবি, কোনওভাবেই এমনটা সম্ভব নয়। এই পার্থক্য হওয়ার কারন দুটি আলাদা অ্যাকাউন্ট থেকে ক্যাব বুক হচ্ছে। মোবাইল কোন সংস্থার, বা তার দাম কত, এসব নিয়ে কোনওভাবেই মাথা ঘামায় না ক্যাব সংস্থা। বরং এইসব ব্যক্তিগত নথি তাঁরা জানতেও চান না। তবে ক্যাব সংস্থার এই সাফাই ভালোভাবে নেয়নি নেটদুনিয়া। আরও অনেকে এক অভিযোগ সামনে এনেছেন। কেউ কেউ প্রমান অবধি দিয়েছেন। সবমিলিয়ে বিষয়টা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে, কমদামী মোবাইল ব্যবহার করলে অনেকটাই কমে যেতে পারে ক্যাবের খরচ।