বিয়ের আসর। অথচ মুহূর্তের মধ্যে আনন্দের পরিবেশ বদলে গেল শোকের আবহে। বিয়ে চলাকালীনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কনের। কিন্তু তাতেও বিয়ে বন্ধ হয়নি অবশ্য। কেবল বদলে গিয়েছে পাত্রী। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কথায় আছে, জন্ম মৃত্যু বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে। সে কথাই যেন মনে করিয়ে দিল গুজরাটের এই ঘটনা। বিয়ের আগে নয়, খোদ বিয়ের আসরেই বদলে গেল পাত্রী। তবে এর নেপথ্যে রয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। আসলে বিয়ের অনুষ্ঠান চলার সময়েই মৃত্যু হয়েছে বিয়ের কনের। আর তারপরেই পাত্রীর বোনের সঙ্গেই ওই পাত্রের বিয়ে দিয়েছে দুই পরিবার।
আরও শুনুন: ‘ভারতে বিতর্কিত কথা বলতে ভয় পাই না, পাকিস্তানে ভয় কীসের?’ সাফ জানালেন জাভেদ আখতার
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। এমন ঘটনাই ঘটেছে গুজরাতের ভাবনগর এলাকার। সেখানকার ভগবানেশ্বর শিব মন্দিরের সামনে এই বিয়ের আসর বসেছিল। সকাল থেকেই বিয়ের আয়োজনে মেতেছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হয়েছিলেন পাত্রও। অন্যদিকে সেজেগুজে একের পর এক নিয়ম পালন করছিলেন পাত্রী। হঠাৎই তাল কাটে। গানবাজনা, হইহল্লার মাঝেই আচমকা মাথা ঘুরে পড়ে যান ওই তরুণী। সঙ্গে সঙ্গে খবর পাঠানো হয় চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু তিনি আসার আগেই সব শেষ হয়ে যায়। জানা যায়, বিয়ে চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই তরুণী। আর তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
চিকিৎসকের কাছে এ কথা শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই বদলে যায় বিয়েবাড়ির পরিবেশ। শোকের আবহ নেমে আসে সেখানে। কিন্তু ওই পরিস্থিতিতেই এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নেন মৃতার বাড়ির লোকজন। মৃত তরুণীর দেহ হিমঘরে রেখেই তাঁর বোনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় পাত্রের। জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর প্রতিবেশী ও তাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাই নাকি বুঝিয়েছিল, পাত্রকে খালি হাতে ফেরত পাঠাতে নেই। তাই যেভাবেই হোক বিয়ে দিতেই হবে। কিন্তু এত অল্প সময়ে নতুন পাত্রী মিলবে কোথায়? তখনই সকলে মিলে ঠিক করে ফেলেন, পাত্রীর বোনকেই বিয়ে দেওয়া হোক ওই পাত্রের সঙ্গে। সেইমতোই নতুন করে শুরু হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। এই বিয়েতেও ধুমধামের কোনও খামতি হতে দেননি ওই প্রতিবেশীরা। নিজেরাই দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করান তাঁরা।
আরও শুনুন: দেউলিয়া অবস্থা থেকে বাঁচতে ‘মোদিকেই চাই’, এবার দাবি উঠল খোদ পাকিস্তানে
একসময় বিয়েতে কোনও সমস্যা হলে লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার ভয় দেখানো হত মেয়েদের। নির্ধারিত পাত্রের সঙ্গে বিয়ে না হলে যে কোনও ব্যক্তির সঙ্গেই বিয়ে দেওয়া হত সেই মেয়ের। ‘পথের পাঁচালী’-তে এমনভাবেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল অপু ও অপর্ণার। এ ঘটনা যেন তারই উলট পুরাণ। তবে এই আকস্মিক বিয়ে পাত্র ও নতুন পাত্রীকেও যে খানিক হকচকিয়েই দিয়েছে, সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কী হয়েছিল নরেন্দ্রনাথের? শুনে নিন।
ঠিক কী বললেন ব্রোঞ্জজয়ী দিব্যা কাকরন? শুনে নিন।
শুনে নিন কেমন হত সাহিত্য সম্রাটের বাড়ির পুজো।
শুনে নিন আজকের বিশেষ বিশেষ খবর।
কী নাম ছিল তাঁর? শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।
চার বছর ধরে এই রীতি জারি কোথায়? শুনে নিন।
এমনই রায় শোনাল একটি আদালত।
