দীর্ঘ আন্দোলনের পর মিলেছিল বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির অনুমতি। সেই মন্দিরের উদ্বোধন এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। জোর কদমে চলছে রাম মন্দির প্রস্তুতির কাজ। সম্প্রতি রাম মন্দিরের জন্য বিশেষ এক তালা বানিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন এক কারিগর। অনেকেই মনে করছেন। এমন তালা বিশ্বের আর কোথাও নেই। কী এমন বিশেষত্ব ওই তালার? আসুন শুনে নিই।
রাম মন্দিরের উদ্বোধনের অপেক্ষায় গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। রাজকীয় অনুষ্ঠানে থাকবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তবে সেই অনুষ্ঠানের আগেই রামমন্দিরের জন্য বিশেষ এক তালা বানিয়ে ফেলেছেন আলিগড়ের এক শিল্পী। এমন বিশ্বমানের মন্দিরে তো আর সাধারণ কোনও তালা ঝোলানো যায় না! তাই তিনি এমন এক তালা বানিয়েছেন, যার নজির গোটা বিশ্বের আর কোথাও নেই।
আরও শুনুন: AI রাজত্বেও হারাতে হবে না চাকরি! কোন কোন কর্মক্ষেত্রে কখনও হানা দেবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা?
তালাটির বিশেষত্ব এর ওজন আর উচ্চতায়। সাধারণত তালার উচ্চতা খুব বেশি হলে হাতের তালুর সমান হয়। কিন্তু রাম মন্দিরের জন্য যে বিশেষ তালা তৈরি হয়েছে, তার উচ্চতা ১০ ফুট। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। প্রায় দু-মানুষ সমান উচ্চতার তালা বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সত্যপ্রকাশ শর্মা নামে এক কারিগর। আলিগড়ের বাসিন্দা সত্যপ্রকাশ বরাবরই শ্রীরামের একনিষ্ঠ ভক্ত। তাঁর পরিবারের অন্যান্যরাও প্রধান আরাধ্য হিসেবে প্রভু রামকেই মনে করেন। তাই রামমন্দির নির্মাণের কথা শুনেই তিনি ঠিক করেছিলেন এক বিশেষ তালা বানাবেন। আসলে তাঁর প্রধান জীবিকাই হল তালা সারানো ও তালা তৈরি করা। তিনি আলিগড়ের যে অঞ্চলে থাকেন সেখানে প্রায় সকলেই এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু বিশেষ চমক দিতে গিয়ে তিনি যে এমন কিছু বানিয়ে ফেলবেন তা কেউই ভাবতে পারেনি। স্রেফ উচ্চতায় বড় নয়, এই তালার ওজনও যথেষ্টই। সত্যপ্রকাশের দাবি অনুযায়ী, তালাটির ওজন ৪০০ কেজিরও বেশি। চওড়ায় প্রায় ৫ ফুট, আর যে লোহার পাত দিয়ে তালাটি তৈরি, তা প্রায় ১০ ইঞ্চি পুরু। বিশালাকায় তালাটির চাবিও নেহাতই ছোট নয়। তার উচ্চতাও ৪ ফুটের বেশি।
আরও শুনুন: চাই রাম মন্দিরের পুরোহিতের চাকরি, ধর্মীয় আচার শিখতে ব্যস্ত যোগীরাজ্যের পড়ুয়ারা
ইতিমধ্যেই তালাটির ছবি নেটদুনিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। ছবিতে তালার পাশেই দেখা যাচ্ছে সস্ত্রীক সত্য প্রকাশ শর্মাকে। তাঁর কথায়, এই তালা তৈরি করতে কয়েক মাস সময় লেগেছে। এইসময় অন্য সব কাজ ভুলে শুধু এই তালাটি তৈরি করেছেন তিনি। খরচও হয়েছে ভালমতোই। দীর্ঘদিন ধরে জমানো প্রায় ২ লক্ষ টাকা এই তালা তৈরিতে খরচ করেছেন তিনি। কিন্তু তাতে কী! আরাধ্যের জন্য এটুকু অনায়াসে করতে পারেন তিনি, এমনটাই দাবি ওই কারিগরের। অবশ্য এই কাজে তাঁর স্ত্রীও সমানভাবে সাহায্য করেছেন বলেই জানিয়েছেন সত্য প্রকাশ। যদিও রাম মন্দিরের তরফে এই তালাটি ঠিক কোথায় এবং কবে ঝোলানো হবে তা জানানো হয়নি। উদ্বোধনের আগেই রাম মন্দিরের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে উপঢৌকন আসছে। কেউ টাকা পাঠিয়ে সেবা করতে চাইছেন, তো কেউ অন্য কিছু। সেই তালিকাতেই যোগ হল সত্যপ্রকাশের তৈরি এই তালা। অনেকেই মনে করছেন, আগামী দিনে এই তালাটিও রামমন্দিরের অন্যতম দর্শনীয় বস্তু হয়ে উঠবে।