সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। সম্প্রতি ইনফোসিস কর্তার এই দাবিতে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল নেটদুনিয়ায়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই একেবারে উলটো কথা শোনালেন টেক জায়ান্ট বিল গেটস। তাঁর দাবি, অদূর ভবিষ্যতে মাত্র ৩ দিন কাজ করতে হবে। নেপথ্যে ঠিক কী যুক্তি ধনকুবেরের? আসুন শুনে নিই।
সপ্তাহে পাঁচদিন কাজ। দুদিন ছুটি। সাধারণত কর্পোরেট জগতে মোটামুটি এই নিয়মই মানা হয়। তবে আগামীদিনে হয়তো এই নিয়ম বদলাবে। সপ্তাহে ৩ দিন কাজ করলেই, তা যথেষ্ট মানা হবে। আর এমন দাবি করেছেন বিখ্যাত টেক জায়ান্ট বিল গেটস।
আরও শুনুন: মসজিদে যাওয়ার রাস্তা নেই, স্বেচ্ছায় চাষের জমি দান করলেন আসামের হিন্দু ব্যক্তি
মাইক্রোসফটের এই প্রাক্তন সিইও একসময় বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি ছিলেন। বর্তমানে সেই স্থান হারালেও, ধনীদের তালিকায় উপরের দিকেই তাঁর নাম রয়েছে। কর্পোরেট জগত এখনও তাঁর যে কোনও মন্তব্য বেশ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। সেই বিল গেটস কিনা বলছেন, সপ্তাহে তিনদিন কাজই যথেষ্ট! এখন প্রশ্ন হচ্ছে এমনটা তিনি কেন বললেন?
আরও শুনুন: ফের চর্চায় তাজমহল! সৌধ চত্বরে নমাজ পাঠে বাধা মুসলিম ব্যক্তিকে
আসলে এর নেপথ্যে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। চলতি বছরের শুরু থেকে হামেশাই শিরোনামে দেখা গিয়েছে ‘এআই’-এর নাম। এমন এক ব্যবস্থা যা অনায়াসে মানুষের কাজ করে দিতে পারে। তাও কারও হস্তক্ষেপ ছাড়াই। অনেকেই এমনটাও বলতে শুরু করেছিলেন, কিছুদিনের মধ্যেই মানুষের প্রয়োজন পড়বে না। সব কাজ করবে এআই। বাস্তবে অবশ্য এমন ঘটনা হয়েওছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরি গিয়েছিল হাজার হাজার মানুষের। বিশেষত কর্পোরেট জগতে এই কোপ পড়েছিল মারাত্মক হারে। আর সবের নেপথ্যে দায়ী করা হয়েছিল এআই-কেই। এ প্রসঙ্গেই সপ্তাহে তিন দিন কাজের কথা শুনিয়েছেন বিল গেটস। তাঁর দাবি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কখনই মানুষের জায়গা নিতে পারবে না। বরং এর জেরে মানুষের কাজ অনেক কমে যাবে। যা কিছু সময় সাপেক্ষ এবং পরিশ্রমের সেই সবই করে দেবে যন্ত্র। আর সেই যন্ত্র পরিচালনার কাজ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এর ফলে যে সময় বাঁচবে তা নিশ্চিন্তে উপভোগ করতে পারবে যে কেউ। সেক্ষেত্রে সপ্তাহে মাত্র ৩ দিন কাজই হবে যথেষ্ট। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জোরে কর্পোরেট জগতে নতুন বিপ্লবের সম্ভাবনা দেখছেন বিল গেটস। অবশ্য এই দাবি তাঁর একার নয়। বিশ্বের প্রথম সারির ব্যবসায়ীদের অনেকেই এমন দাবি করেছেন। মার্কিন মুলুকের কিছু সংস্থা সপ্তাহে ৪ দিন কাজ, এমন নিয়ম চালুও করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। সুতরাং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যতই বিতর্ক থাকুক, কর্পোরেট জগতের কর্তা ব্যক্তিরা এর ভালো দিকটাই দেখতে চাইছেন। কীভাবে যে কোনও ব্যবসাকে আরও উন্নত করতে পারে এআই সেই নিয়েই বিভিন্ন জায়গায় বলতে শোনা যাচ্ছে তাঁদের। এবার বিল গেটসও সেই দলে নাম লিখিয়েই, এআই কীভাবে মানুষের সুবিধা করবে সেই খতিয়ান দিলেন।