ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অন্তর্ভুক্ত নন তাঁরা কেউ। অথচ তাঁরা ক্রিকেটার। ভারতীয় দলেরই ক্রিকেটার। ব্যাপারটা কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে না! যাওয়াই স্বাভাবিক! কেননা কোহলি ধোনি যে মহিলা হয়ে উঠতে পারেন, তা কে আর ভাবতে পারে! কে ভেবেছেন এমন ভাবনা! আসুন শুনে নিই!
প্রিয় ক্রিকেটারের ছবি জমিয়ে রাখার শখ থাকে অনেকেরই। শচীন-সৌরভের ছবির পোস্ট-কার্ড এক সময় সযত্নে তুলে রেখে দিতেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সময় বদলেছে। এখন ডিজিটাল আর্কাইভে তোলা থাকে ধোনি-কোহলির মতো তারকার ছবি। তবে সম্প্রতি তাঁদের এমন কিছু ছবি দেখা গেল, যা আগে কখনও দেখা যায়নি।
আরও শুনুন: গরিব হলেন ধনকুবের! AI-এর কারসাজিতে ‘বিপ্লব’ নেটদুনিয়ায়
ধোনি-কোহলির ফ্যানরা হয়তো ভাববেন যে, কী এমন ছবি যে তাঁরা আগে দেখেননি। আসলে দেখবেন কী করে! শিল্পীর কল্পনায় ধোনি, কোহলিরা হয়ে উঠেছেন নারী। মুখের আদল দেখে চিনে নেওয়া যাচ্ছে যে তাঁরা কারা। কিন্তু তাঁদের এতদিনের চেনা ছবির সঙ্গে মিল নেই এতটুকু। সম্প্রতি এই কাণ্ডটিই ঘটিয়েছেন জনৈক শিল্পী, আর তা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়েছে নেটদুনিয়ায়। তবে এই কাণ্ডটি ঘটিয়ে তোলায় সহায়ক হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
আরও শুনুন: হাতে গিটার, পরনে রংচঙে জামা, ‘রকস্টার’-এর ভূমিকায় চমকে দিলেন মোদি-ট্রাম্প
এর আগেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে এরকম অভিনব কাজের সাক্ষী হয়েছেন দর্শক। মুকেশ আম্বানি, বিল গেটসের মতো ধনকুবেরদের যদি দেশের গরিব নাগরিকদের সাজে দেখা যেত, তবে কেমন হত! তা কল্পনা করা হয়েছিল। সে ছবিও রীতিমতো ঝড় তুলেছিল। তার দুটি কারণ ছিল। এক তো ধনকুবেরদের গরিবের বেশে দেখা। দ্বিতীয়ত, এআই প্রযুক্তির অভিনব কীর্তি।
সময়টা যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এ নিয়ে আলোচনাও চলছে বিস্তর। কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, মানুষের হাতের কাজ ছিনিয়ে নিতে পারে এই প্রযুক্তি। অন্যদিকের মত, এই প্রযুক্তিকে অবলম্বন করে অনেকেই সৃষ্টিশীল কাজে আরও বেশি মেতে উঠতে পারবেন। সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় এরকম কাজই বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রযুক্তি আর শৈল্পিক কল্পনা মিলেমিশে বিস্মিত করছে মানুষকে।
তারই সাম্প্রতিক উদাহরণ হল, কোহলি ও ধোনির মতো তারকা ক্রিকেটারদের নারী হিসাবে কল্পনা করা। ছবিগুলো দেখে বিস্মিত হয়েছেন নেটিজেনরা। যে দক্ষতায় নিখুঁতভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এই কাজটি করেছে, তা বিস্ময় জাগানোরই মতো। কিছুদিন আগে ভারতীয় ক্রিকেটাররা ছোটবেলায় কেমন দেখতে ছিলেন, তা এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কল্পনা করেছিলেন জনৈক শিল্পী। তাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিন্তু আসল-নকলের ফারাক প্রায় মুছেই দিয়েছিল। ফলত, আগামীর সৃজনশীল কাজে যে এই প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ অনেকখানি আসবে, তারই আভাস যেন মিলছে এই ছবি থেকে।